‘প্রতিবাদী’ জার্মানিকে ওজিলের কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হলো

জাপানের বিপক্ষে জার্মানির অভিনব প্রতিবাদ ভীষণ আলোচিত হয়েছিল। কাতারের সমকামী বিরোধী আইনের প্রতিবাদ জানাতে ‘ওয়ান লাভ’ আর্ম ব্যান্ড পরতে চেয়েছিলেন ম্যানুয়েল নয়্যাররা। কিন্তু ফিফার নিষেধাজ্ঞায় আর্ম ব্যান্ড না পরলেও ম্যাচের আগে মুখ হাত দিয়ে ঢেকে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়াও দেখতে হলো জার্মানদের। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক জার্মান তারকা মেসুত ওজিলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বর্ণবাদী আচরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কিছু দর্শক। 

পাল্টা প্রতিবাদ জানানোর এই ঘটনা ঘটেছে জার্মানি-স্পেন ম্যাচের সময়। দেখা গেছে, ওজিলের ছবি সামনে রেখে একইভাবে মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছেন কিছু দর্শক।

মূলত ওজিলের প্রতি হওয়া অবিচারকে মনে করিয়ে দিতেই তাদের পাল্টা প্রতিবাদ। ওজিলকে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ছিল গত বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোগানের সঙ্গে ছবি তুলে সমালোচিত হয়ে আসছিলেন একের পর এক। রাশিয়া বিশ্বকাপেও ছিল তার ছায়া। জার্মানির গ্রুপ পর্বের বিদায়ে বর্ণবাদী আক্রমণের পাশাপাশি বলির পাঁঠা বানানো হয় তাকে। পরে রাগে-ক্ষোভে বিদায় বলে দেন জার্মান ফুটবলকে।

জার্মানির সোনালী প্রজন্মের প্রতিনিধি ওজিল জার্মানিতে জন্ম নিলেও তার বাবা-মা তুর্কি অভিবাসী। সেই সময় তিনি তুরস্ক থেকে আসা পরিবারদের প্রতি জার্মান ফুটবল, ভক্ত ও গণমাধ্যমের বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ করেন।  তখন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জয় পেলেই গ্রিন্ডেল ও তার সমর্থকদের চোখে তখন জার্মান, কিন্তু যখন হেরে যাই তখন আমি একজন বহিরাগত।’

সেই বিতর্কে শুধু ওজিলই ছিলেন না। তুরস্ক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তোলার সময় সঙ্গে ছিলেন ইলকাই গুন্ডোগানও। বর্তমান জার্মানি দলের তিনি অন্যতম সদস্য। রবিবার আল বায়েত স্টেডিয়ামে স্পেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচটা খেলেছেন। ওই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন আসতেই বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে এই মুহূর্তে রাজনীতি শেষ। আমার মনোযোগ পুরোপুরি ফুটবলে। যেহেতু মুসলিম দেশ হিসেবে কাতারে প্রথম বিশ্বকাপ হচ্ছে; মুসলমান হিসেবে সেটা আমাদের জন্য গর্বের।’