তাদের লক্ষ্য এখন শেষ ষোলো

আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, পোল্যান্ড- তিন দলেরই শেষ ষোলোয় যাওয়ার মতো সামর্থ্য হয়তো আছে। কিন্তু মেসিদের হারিয়ে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেওয়া সৌদি আরবও এখন সেই লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই। আজ মেক্সিকোকে হারিয়ে দিতে পারলেই শেষ ষোলোর টিকিট কাটবে আরবের এই দেশ। ম্যাচটা শুরু হবে রাত ১টায়।

গ্রুপ সি’তে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পোল্যান্ড। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তার পরেই আছে আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব। মেক্সিকোর শুধু একটি পয়েন্ট। ড্র করলেও সৌদি আরবের শেষ ষোলোয় যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্র্রে আর্জেন্টিনাকে হারতে হবে পোল্যান্ডের কাছে। সৌদি হেরে গেলেও সম্ভাবনা থাকবে। তখন হিসাব-নিকাশ জটিল হয়ে যাবে আরও। সেক্ষেত্রে তাদের হারের ব্যবধান ১ গোলের বেশি হওয়া যাবে না। আবার পোল্যান্ডকেও জিততে হবে বড় ব্যবধানে।

নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে সৌদি কোচ হার্ভে রেনার্দ বলেছেন, ‘বিশ্বের কেউ ভাবেনি আমরা এই পর্যায়ের খেলা উপহার দিতে পারবো। আমরা জানি ছেলেদের সামর্থ্য। কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে সেটা অজানা। আমরা এখনও টুর্নামেন্টে টিকে আছি।’    

অবশ্য প্রতিপক্ষ মেক্সিকোরও সুযোগ আছে শেষ ষোলোয় যাওয়ার। সেক্ষেত্রে আরব দেশটিকে ৩ গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে। আর পোল্যান্ডকে আর্জেন্টিনার কাছে পরাজয় এড়াতে হবে। অর্থাৎ অনুকূলে থাকা লাগবে বাকি ম্যাচের ফলাফল।

অপর দিকে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করলেও বাকি দলটা এখনও অনিশ্চিত। সেই লক্ষ্যে রাত ৯টায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক। এই ম্যাচ জিতলে অস্ট্রেলিয়া নকআউটে ফ্রান্সের সঙ্গী হবে। ড্র করলেও সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্রে ফ্রান্সকে তিউনিশিয়ার কাছে হারা যাবে না। ডেনমার্ককে অবশ্য শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই। তাই গ্রুপ ডি’ এর ম্যাচটা দুই দলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য ১৬ বছর হয়ে গেছে যারা সর্বশেষ ও প্রথমবার নকআউট খেলার সুযোগ পেয়েছে। ও্ই হিসেবে সকারুসদের কাছে এই ম্যাচটা আক্ষেপ ঘোচানোর মিশন। এরই মধ্যে তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপের প্রথম জয় তুলে সেটি প্রমাণের ইঙ্গিতও দিয়েছে। এখন সকারুসদের সোনালী প্রজন্মের কাছ থেকে প্রেরণা নিচ্ছেন কোচ গেরহাম আর্নোল্ড, ‘অস্ট্রেলিয়া যখন ২০০৬ সালে খেলে তখন বর্তমান খেলোয়াড়দের বয়স ১০ বছরের মতো। এখন ওরাই উত্তরসূরীদের প্রেরণা।’