আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড সমানে সমান!

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে হলে বেশ কয়েকটি সমীকরণ মেলাতে হবে মেসির দলকে। তবে পোল্যান্ডকে হারিয়ে দিলে এমনিতেই উঠে যাবে নকআউট পর্বে। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। আজ (বুধবার) দিবাগত রাত ১টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেও একই আর্জেন্টিনাকে দেখার প্রত্যাশা সমর্থকদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে প্রতিপক্ষ পোল্যান্ডকে মোটেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই আলবিসেলেস্তেদের।

বিশ্বকাপে দুইবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে একবার করে জিতেছে দুই দল। এ নিয়ে ফুটবল মহাযজ্ঞে তৃতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে পোল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। ১৯৭৪ সালে পোল্যান্ড জিতেছিল ৩-২ গোলে। এরপর ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ২-০ গোলে। সব মিলিয়ে দুই দল মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয়বার, পোল্যান্ড জিতেছে তিনবার। বাকি দুটি ড্রতে নিষ্পত্তি হয়েছে। যদিও ২০২২ সালের জুনে একটি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল পোল্যান্ড।

সবকিছু মিলিয়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই ম্যাচ ড্র হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে পোল্যান্ড। ড্র করলে সুযোগ আছে আর্জেন্টিনারও। সেক্ষেত্রে মেক্সিকো-সৌদি আরবের ম্যাচটিও ড্র হতে হবে। 

মেক্সিকোর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে জয়ে ফিরিয়েছেন মেসি। দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও মেসিকেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি জ্বলে উঠতে হবে আনহেল দি মারিয়া, লাউতারো মার্তিনেজদের। রোদ্রিগো দে পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এনজো ফের্নান্দেসদেরও মাঝমাঠে রাখতে হবে ভূমিকা। রক্ষণে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে লিসান্দ্রো মার্তিনেস, নিকোলাস ওতামেন্দিদের।

যদিও গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার রাস্তাটা খুব জটিল মনে হচ্ছে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনির। তবে মেক্সিকোর বিপক্ষে জয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি আগেই বলেছিলাম যে এটা একটি কঠিন ও জটিল গ্রুপ, শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সবাই ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমরা মেক্সিকোর বিপক্ষে জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি এবং এটা আমাদের সাহায্য করবে।’

আর্জেন্টিনার তুলনায় কোনও অংশে শক্তিমত্তায় পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই পোল্যান্ডকে। রবার্ত লেভানদোভস্কি আগের ম্যাচে গোল পেয়েছেন। আজকের ম্যাচেও তিনি জ্বলে উঠলে ভুগতে হবে লাতিন দেশটিকে। পাশাপাশি আরকাদিউস মিলিককেও দেখাতে হবে গোলবারের সামনে ঝলক। রক্ষণভাগে কামিল গ্লিক, ইয়াকব কিভিওরদের পালন করতে হবে মেসি-মারিয়াদের শান্ত রাখার দায়িত্ব। ভেইচেখ শেজনিকেও গোলবারের সামনে হতে হবে নিখুঁত।

মেসি একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের চিত্রনাট্য। এই কারণেই পোল্যান্ডের কোচ চেসলাভ মিকনিয়েভিচের ঘুম হারাম। তার মতে, মেসিকে থামানোর উপায় বের করা বেশ কঠিন, ‘আমি মনে করি পুরো বিশ্ব গত ১৮ বছর ধরে এই সম্পর্কে ভাবছে। আমার মনে হয় না, সে যতদিন খেলছে, ততদিন আমরা এটা বের করতে পারবো।’