রোনালদোকে ছাড়িয়ে মেসির পাশে এমবাপ্পে

আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তিউনিসিয়ার বিপক্ষে একাদশে থাকতে পারেননি এমবাপ্পে। বদলি কোটায় খেলার সুযোগ হলেও সেই ম্যাচে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। চেয়ে চেয়ে দলের হার দেখেছেন। সেই হারের জ্বালা এভাবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে মেটাবেন তা কে ভেবেছিল?

দিদিয়ের দেশম শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সেরা একাদশের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। এমবাপ্পে-জিরুদরা দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে পোলিশদের ব্যাকফুটে ফেলে দেন। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে যেন এমবাপ্পে ছিলেন অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিন গোলের দুটি তো করেছেনই অন্যটিতে করেছেন সহায়তা।

গতি আর ড্রিবলিংয়ে পারদর্শী এমবাপ্পে এই ম্যাচেও দেখিয়েছেন সাবলীল পারফরম্যান্স। ২৩ বছর বয়সে নিজের ক্যারিয়ারকে এমন এক পর্যায়ে এনেছেন তা সমীহ জাগানোর মতোই। নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচ যেতে না যেতেই এরই মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এককভাবে চূড়ায়। তার নামের পাশে রয়েছে ৫টি গোল।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ মিনিটে গোলটি করে রেকর্ডও গড়েছেন। বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে তার গোলসংখ্যা ৮টি। অথচ মাত্র ২০১৮ বিশ্বকাপ দিয়ে অভিষেক হয়েছে এই স্ট্রাইকারের। এছাড়া বয়স ২৪ হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড পেলেকে (৭) ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে চলে এসেছেন।

পাশাপাশি ভেঙে দেন পর্তুগালের সর্বকালের অন্যতম সেরা ইউসেবিওর রেকর্ডও। ২৪ বছর ১৮২দিন বয়সে ৮টি গোল ছিল পর্তুগাল গ্রেটের। এবার ফরাসি তারকা করলেন ২৩ বছর ৩৪৯ দিনে!

এই সময়ে অন্য দুই ফুটবল গ্রেট লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিচ্ছেন এমবাপ্পে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে দুই গোলে এরই মধ্যে রোনালদোকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। আর মেসিকে করেছেন স্পর্শ!

৫ বিশ্বকাপ খেলে রোনালদো গোল করেছেন ৮টি। আর মেসির ঝুলিতে রয়েছে ৯টি। কাতার বিশ্বকাপ শেষে এমবাপ্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে রোনালদো-মেসিকে ছাড়িয়ে আরও সামনের দিকে ছুটে চলার। যদিও রাশিয়া বিশ্বকাপ জিতে এরই মধ্যে রোনালদো-মেসিকে এক দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেছেন ফ্রেঞ্চ তারকা।

এমবাপ্পেকে নিয়ে প্রশংসাই ঝরেছে কোচ দিদিয়ের দেশমের কণ্ঠে, ‘আমরা সবাই জানি এমবাপ্পে কেমন। এরই মধ্যে তাকে দেখেছি। সে ফুটবলের মাঠেই কথা বলে। তবে আমার মনে হয় আজও সে সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি। এর জন্য তাকে দোষারোপ করছি না। সে তার সম্পর্কে ভালো জানে। তবে সে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। ফ্রান্সের রাতে দরকার ছিল একজন গ্রেট এমবাপ্পের। তারা তা পেয়েছেও।’

দেশমের জন্য একই দিনে আরও সুসংবাদ। থিয়েরি অরির ১২৩ ম্যাচে ৫১ গোলের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছেন অলিভিয়ের জিরুদ। ১১৭ ম্যাচ খেলে ৫২টি গোল করে এখন এককভাবে শীর্ষে এই স্ট্রাইকার।