যে কারণে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি রোনালদোর

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে থেকেই রোনালদোর একাদশে থাকা নিয়ে ছিল নানা গুঞ্জন। কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কথা শোনা যাচ্ছিল। পর্তুগিজ মিডিয়াও পেছনে লেগে ভোটাভুটিতে রোনালদোকে একাদশের বাইরে রাখার পক্ষে সমর্থন আদায় করে নেয়। যার ধারাবাহিকতায় দেখা গেলো শেষ ষোলোয় ফার্নান্দো সান্তোসের শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি পর্তুগিজ প্রাণভোমরার। তাহলে কি সত্যিই রোনালদোর দিন ফুরিয়ে গেছে?

চলমান গুঞ্জন যখন ডালপালা মেলছে, পর্তুগাল কোচ সান্তোস কিন্তু সব কিছু পরিষ্কার করেছেন ম্যাচের পর। তিনি জানিয়েছেন, পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কৌশলগত কারণে। খেলায় রোনালদোর তুলনায় বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য আছে বলেই গঞ্জালো রামোসকে দলে নেওয়া হয়েছে। যার প্রমাণ তো তিনি মাঠেই দিয়েছেন হ্যাটট্রিক করে। সান্তোস বলেছেন, ‘ক্রিস্তিয়ানোর ব্যাপারটা পুরোপুরি নির্ধারিত। বক্সে সে পুরোপুরি নির্ধারিত অঞ্চলে বিচরণ করে। সেই জায়গায় গঞ্জালো পুরোপুরি ভিন্ন প্রকৃতির। ও ভীষণ গতিময় একজন খেলোয়াড়। যে পর্যবেক্ষণটা আমি করেছি, তার ফলাফল তো শেষ পর্যন্ত দেখতেই পেলাম।’    

রোনালদোকে নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হওয়ার আরও কারণ আছে। ২০০৮ সালের পর কোনও টুর্নামেন্টে এই প্রথম শুরুর একাদশে জায়গা পাননি। পর্তুগিজ কোচ অবশ্য ম্যাচের পর বলেছেন, রোনালদোর সঙ্গে ঝামেলা নেই, ‘রোনালদো-আমি কখনো মানবীয় ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করি না। যে ডিসিপ্লিনারি বিষয় ছিল সেটা শেষ এবং সমাধান হয়ে গেছে। আর রোনালদোর ইতিহাসও আপনাদের দেখতে হবে। তাই সব কিছু সামগ্রিক অর্থে দেখতে হবে।’

তবে রোনালদোর ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে যে একটা বিষয় ঝুলে আছে, সেটার ইঙ্গিত মিলেছে তার কথায়, ‘হ্যাঁ, এটা এমন একটা বিষয় যার সুরাহা করতে হবে। তবে আমার সঙ্গে রোনালদোর সম্পর্ক খুব ভালো। সব সময়ই সেটা ছিল। সেই ১৯ বছর বয়সে স্পোর্তিংয়ে থাকার সময় থেকে তাকে চিনি।’