রোনালদোকেই নেতা মানছেন রামোস

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেঞ্চে বসে থাকবেন। তার জায়গায় তার সামনে অখ্যাত এক তরুণকে বাজির ঘোড়া হিসেবে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হবে—তা ম্যাচের আগে কে ভেবেছিল? পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো সান্তোষ সেই ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন। আর তাতেই বাজিমাত।

রোনালদোর জায়গায় গঞ্জালো মাতিয়াস রামোস শুরু থেকে একাদশে খেলে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম তোলপাড় করে ফেললেন। প্রতিপক্ষকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে করলেন কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক! ২১ বছর বয়সে এমন পারফরম্যান্স দেখিয়ে রামোস এখন পর্তুগালের আশার আলো, উদীয়মান সূর্য।

তাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে পর্তুগাল তথা তাদের সমর্থকরা। অথচ রামোস এই বিশ্বকাপে মাত্র দুটি ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিছু সময়ের জন্য নেমে যদিও সেভাবে পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ হয়নি।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এমন বাঁচা-মরার ম্যাচে খেলতে পারবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি বেনফিকার অ্যাকাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা ফরোয়ার্ড। আর যখন সুযোগ পেলেন, এরপর যা হয়েছে, তা তো ইতিহাসের চেয়ে কম কিছু নয়। তাই তো সুইজারল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়ে ম্যাচ শেষে রামোসের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই।

ম্যাচ শেষে নিজেই জানালেন,‘ আমি স্বপ্নেও ভাবিনি নকআউট পর্বের ম্যাচে প্রথম একাদশে থাকবো। খেলতে পারবো। এখন একটি করে ম্যাচ খেলে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মনোযোগ এখন এক জায়গাতে। মরক্কোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

রোনালদোর জায়গায় নেমে রামোস অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছেন। নিশ্চিতভাবে মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে একাদশে জায়গা করে নেওয়াটা বলতে গেলে স্থায়ী করে নিচ্ছেন। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে রোনালদোকে ব্যাকফুটে ফেলেছেন। আবারও বদলি হয়ে মাঠে নামতে হতে পারে সিআর সেভেনকে। তবে পাঁচবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী তারকার প্রতি চরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা উচ্চারণ করতে ভুল করেননি রামোস, ‘রোনালদো আমাদের নেতা। আমরা সবসময় তার পাশে থাকার জন্য উন্মুখ। তিনি আমার উদাহরণ। রোনালদো, লেভানডোভস্কি ও ইব্রাহিমোভিচ- এই খেলোয়াড়রাই আমার রোল মডেল।’