নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গোলও আছে মেসির

লিওনেল মেসি মাঠে থাকা মানে প্রতিপক্ষের কাছে বড় আতঙ্ক। জায়গায় দাঁড়িয়ে চোখের পলকে যেভাবে রক্ষণ তছনছ করে ফেলেন; তা অভাবনীয় একটি ব্যাপার। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার সামনে আরও বড় মিশন। মুখোমুখি হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের। এই ম্যাচেও প্রতিপক্ষের দৃষ্টি থাকছে ৩৫ বছর বয়সী প্লেমেকারের ওপর। আজও কি ডাচদের রক্ষণব্যুহ তছনছ করবেন ‘ভিনগ্রহের’ ফুটবলার? এসব প্রশ্নের উত্তর যখন অনুসন্ধান করা হচ্ছে, তখন পেছনে ফিরে তাকালে মিলছে সুখস্মৃতি।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়, হারের পাশাপাশি ড্রও আছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম দেখায় আলবিসেলেস্তেরা হারলেও পরেরটিতে জিতেছে। সব স্তরের খেলায় আর্জেন্টিনা ৪টিতে জিতেছে, হেরেছে তিনটি। ড্র হয়েছে দুটি।

ডাচদের কাছে আর্জেন্টিনার হারের রেকর্ড থাকলেও দলের বড় তারকা মেসির আসার পর কিন্তু সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়নি। বরং ডাচদের বিপক্ষে গোল করে দলের জয় ত্বরান্বিত করতে অবদান আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরের-ই। তিনবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে তার দুবারই দেখা হয়েছে বিশ্বকাপে। একবার অলিম্পিকে।

২০০৬ সালের ২১ জুন জার্মানি বিশ্বকাপে দুই দলেরই ম্যাচ ছিল গ্রুপ পর্বে। দুই দলের নকআউটও নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তার আগে তাদের মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।

২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে অবশ্য ২-১ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। মেসি ১৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ডি মারিয়া অতিরিক্ত সময়ে লক্ষ্যভেদ করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন।

দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। আলেসেন্দ্রো সাবেলার অধীনে ডাচদের বিপক্ষে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে মেসিরা সার্জিও রোমেরোর নৈপুণ্যে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ডাচদের।।

মেসি যেভাবে ফর্মে আছেন তাতে আজও তাকে আটকানো কঠিন হবে ডাচদের জন্য। শেষ অনুশীলনে মেসিকে বেশ সপ্রতিভ মনে হয়েছে। যদিও ১৫ মিনিটের অনুশীলনে সবকিছু বোঝা কঠিন। তবে তিন গোল করে কাতারে নিজের ‍মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন এরইমধ্যে। এখন দেখার বিষয় মেসির আর্জেন্টিনা আজ কতটা ধারাবাহিক থাকতে পারে।