আর্জেন্টিনা সব রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জানে: স্ক্যালোনি

ডাচদের বিপক্ষে শেষ ১৭ মিনিটে (ইনজুরি টাইম মিলিয়ে) ২ গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত আধাঘণ্টা সময়েও ম্যাচের নিষ্পত্তি না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেই স্নায়ুচাপ সামলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আলবিসেলেস্তেরাই। ম্যাচ শেষে দলটির কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি জানালেন, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উপায় জানে আর্জেন্টিনা। এবার আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠার অভিযান। একই ভেন্যুতে আগামী মঙ্গলবার রাতে আসরের প্রথম সেমিফাইনালে তাদের মাঠে নামতে হবে। প্রতিপক্ষ ব্রাজিলকে বিদায় করে দেওয়া ক্রোয়েশিয়া।

শুক্রবার রাতে রুদ্ধশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ২-২ সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে শেষ হাসি হেসেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। আর্জেন্টিনার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। নাহুয়েল মলিনাকে অ্যাসিস্টের পর গোলও করেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর। অন্যদিকে পেনাল্টি শুটআউটে প্রতিপক্ষের প্রথম দুটি শট রুখে দিয়েই মূল কাজটা করেছেন এমিলিয়ানো।

কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতার পর আর্জেন্টিনার কোচ স্ক্যালোনি জানিয়েছেন, ‘আর্জেন্টিনার দলীয় মনোবল রয়েছে। কারণ আমরা জানি কীভাবে ম্যাচের প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। এটা সত্যি যে পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়া আমাদের প্রাপ্য ছিল না। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি, ডাচরা আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করছিল।’

শিষ্যদের প্রশংসা করে স্ক্যালোনি বলেছেন, 'দ্বিতীয়ার্ধটা ছিল অদ্ভুত। যখন মনে হয়েছিল, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, ঠিক তখনই দেখা গেলো যে না শেষ হয়নি। আপনাকে অবাক হতে হলো। এই দল গর্ব করতে পারে, এই দলের অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল রয়েছে। আমরা লড়াই করতে চাই এবং এটাই হলো (সাফল্যের) চাবিকাঠি।’

নির্ধারিত সময়ের শেষ ২০ মিনিটে ডাচদের কৌশল দেখে বিস্মিত হয়েছেন স্ক্যালোনি, ‘আমি এই বিষয়ে কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। তারা এমন কায়দায় খেলেছে যেটা আমি প্রত্যাশা করিনি। তারা বিশ্বকাপ থেকে তখন প্রায় ছিটকেই গিয়েছিল (২-০ গোলে পিছিয়ে থাকায়)। তবে প্রতিটি কোচই তাদের নিজস্ব ঘরানায় খেলার ছক কষে থাকেন।’