প্রথম গোলটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে: মরক্কো কোচ

বিশ্বকাপের এই তো মাহাত্ম্য। সব কিছু তো আর পরিসংখ্যান, ফেভারিট তত্ত্বে এগোয় না। নাহলে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হয়ে যায় পুরোপুরি পানসে। এবারই যেমন বিশ্বকাপটাকে রোমাঞ্চকর বানিয়ে ছেড়েছে মরক্কো। রূপকথার জন্ম দিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারলেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। শেষটায় ব্যর্থতা সঙ্গী হলেও গর্ব করার মতো ইতিহাস লিখে তারা বিদায় নিচ্ছে। মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি তাই হতাশ নন।

বড় বড় জায়ান্টদের বিদায় করে দেওয়া মরক্কো প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিতে খেলেছে। এই অর্জনকেই বড় করে দেখছেন রেগরাগি, ‘আমরা বুঝতে পারি, এরই মধ্যে মহান কিছু অর্জন করতে পেরেছি। মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া, টিভিসহ সবখানেই দেখছি আমাদের নিয়ে লোকজন কীরকম গর্ববোধ করছে।’

পুরো টুর্নামেন্টেই আঁটোসাটো রক্ষণের জন্য আলোচিত ছিল মরক্কো। সেমির আগে প্রতিপক্ষের একটি গোলও হজম করেনি। কিন্তু ফ্রান্সের বিপক্ষে গতকাল ৫ মিনিটেই হজম করে বসে প্রথম গোল! মরক্কো কোচ শুরুর এই গোল হজম নিয়েই আক্ষেপ করছেন, ‘যদি আক্ষেপ থাকে সেটা হবে ম্যাচের শুরু নিয়ে। শুরুটা বাজেভাবে করেছি। প্রথম দিকের গোলটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বার বার আক্রমণেও উঠতে দেখা গেছে তাদের। কিন্তু যান্ত্রব ফিনিশিংয়ের অভাবে একটিও সাফল্য পায়নি তারা। রেগরাগিও মানছেন সেটা, ‘দ্বিতীয়ার্ধেঅনেক সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত যান্ত্রব ফিনিশিংয়ের অভাবে অ্যাটাকিং থার্ডে সাফল্য পাইনি।’