সেশেলস ম্যাচ নিয়ে ‘সিরিয়াস’ বাংলাদেশের কোচ

সংবাদ সম্মেলনে হাভিয়ের কাবরেরা একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন। সাবলীলভাবে উত্তর দিলেও তার অবয়বে রাজ্যের চিন্তার ভাঁজ। গত বছর লাল-সবুজ দলের দায়িত্ব নিয়ে মাত্র একটি ম্যাচ জেতাতে পেরেছিলেন। এবার বছরের শুরুতে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সেশেলস চ্যালেঞ্জ। আগে থেকেই বলে আসছেন প্রথম ম্যাচে অন্তত সাফল্য দিয়ে বছর শুরু করতে চান। তাই সময় গড়াতেই স্প্যানিশ কোচের চিন্তাও বাড়ছে। সৌদি আরবের মদিনাতে দারুণ কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পর এবার আসল পরীক্ষা। সিলেটের মাঠে সেশেলসের বিপক্ষে জয় দিয়ে রাঙানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন ৩৭ বছর বয়সী কোচ।

সৌদি আরবে শুধু অনুশীলনই করেনি জামাল-তপুরা। মদিনার দল উহুদ এফসি ও আফ্রিকার মালাবির সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দুটোতেই ১-১ গোলে ড্র করেছে। সেশেলসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তা যে বেশ কাজে লাগবে তা অকপটে বলে গেলেন কাবেররা, ‘অবশ্যই, আমাদের লক্ষ্য দুই ম্যাচই জেতা। এটা সহজ চ্যালেঞ্জ হবে না।  আমরা আরও ধারাবাহিকতা আনতে চাই। যেটা গত বছর ছিল না। সৌদিতে আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি সেটার প্রতিফলন এখানে ঘটাতে চাই।’ 

এই দুই ম্যাচ ঘিরে কোনও ছাড় দিচ্ছেন না কাবরেরা। যে করেই হোক ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়তে চাইছেন। গত বছর মাত্র একটি ম্যাচে জয় এসেছিল। তাও কম্বোডিয়ার বিপক্ষে। বাকি সব ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। এই বছরের চ্যালেঞ্জটা যেন একটু বেশি। তা বলতে গিয়ে কাবরেরা জানালেন, ‘এই দুই ম্যাচ নিয়ে আমাদের আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত। বাংলাদেশের সবাইকে দেখাতে চাই আমরা এই বছরটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের দুটি ম্যাচই জেতা দরকার, জিততে চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য স্বাগতিক দর্শকদের সামনে ভালো খেলা। তাদেরকে গর্বিত করা। এরপর সাফ, বিশ্বকাপ বাছাই আছে। সমর্থকদের সমর্থন চাই আমরা।’

জয়ের ব্যবধান কেমন হতে পারে? গোলদাতা কে হবেন? এ নিয়ে ভাবছেন না কাবরেরা। তার কাছে জয়টাই মূল লক্ষ্য, ‘আমাদের লক্ষ্য জেতা। কে গোল করলো কিংবা জয়ের ব্যবধান কেমন হতে পারে তা বড় বিষয় নয়। ১-০ গোলে জিতলাম, তাতে আমি খুশি। শুধু জয় নয়, কীভাবে জিতলাম সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। জেতার পাশাপাশি ভালো পারফরম্যান্স করা চাই।’

প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন কাবরেরা। তাদের আগের রেকর্ডও ভালোমতো মগজে গেঁথে নিয়েছেন। তাইতো বলেছেন, ‘শৌখিন দল হলেও সেশেলসকে খাটো করে দেখা যাবে না। তারা ৭০ ধাপ উপরের দল কমোরোসকেও হারিয়ে দিয়েছে। তাই সেশেলস ছোট দল এটা বিশ্বাস করা যাবে না। এই ভুল করা যাবে না। ওরা শারীরিকভাবে শক্তিশালী দল। আক্রমণভাগে বেশ কয়েকজন আছে যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তবে আমরা নিজেদেরকেই নিয়েই ভাবছি।’

বাংলাদেশকে জিততে হলে গোল করতে হবে। আর সেই দায়িত্ব এলিটা কিংসলে, সজীব কিংবা সুমনের ওপর। কাবরেরা সবাইকে নিয়ে আশাবাদী, ‘এলিটা দলের জন্য উপহার, সজীব ও সুমন দারুণ করছে। এছাড়া আক্রমণভাগের বাকিরাও ভালো করছে। যেই সুযোগ পাক সেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি চাই দল ভালো খেলুক। গোল দিক। ম্যাচ জিতে আসুক।’