ফিফা গঠনতন্ত্রে ঐতিহাসিক সংস্কার

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এবং এর কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা আনতে সংস্কার প্রস্তাব পাস হয়েছে।  শুক্রবার ফিফার সদরদপ্তর জুরিখে জরুরি সাধারণ সভায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে ওই সংস্কার প্রস্তাবটি পাস হয়। ফিফার সদস্যরা ব্যাপকভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে চলে আসার পর থেকেই সংস্থাটিতে সংস্কারের জোরালো দাবি ওঠে। ফিফাতে সংস্কার কার্যক্রম চালানোর জন্য একটি খসড়াও তৈরি করা হয়। ফিফা সংস্কার

সংস্কার কার্যক্রমের পক্ষে ভোট দিয়েছেন সংস্থাটির ৮৯ শতাংশ সদস্য। ফিফার কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আনাই এই সংস্কার কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। ফিফার কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনতে এখন থেকে ফিফার প্রেসিডেন্টসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য এবং স্বশাসিত অন্যান্য কমিটিগুলোর প্রধ‌‌‌ানেরা তাদের বার্ষিক আয়ের হিসাব প্রকাশ করবেন।

পাস হওয়া আইন অনুযায়ী কেউ তিনবারের বেশি মেয়াদে (চার বছর মেয়াদি) প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এছাড়া এখন থেকে নবনির্বাচিত ফিফা কাউন্সিল ফিফা নির্বাহী কমিটির স্থলাভিষিক্ত হবে। তারাই সংগঠনের সার্বিক বিষয়গুলো দেখভাল করবেন।
এখন থেকে সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ফিফার বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবে। সার্বিক কৌশলগত বিষয়গুলো দেখবে ফিফার কাউন্সিল। এছাড়া নতুন আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি কনফেডারেশন থেকে একজন মহিলা প্রতিনিধি ফিফার কাউন্সিলে নির্বাচিত হবেন।

/আরএম/এমআর/