প্রায় আধাঘণ্টা মারাকানার গ্যালারিতে চললো দাঙ্গা-হাঙ্গামা। জাতীয় সঙ্গীতের সময় স্ট্যান্ডে দুই দলের সমর্থকরা মারামারি করার পর আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় ব্রাজিলিয়ান পুলিশ। দেশের সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করায় আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ এক পুলিশ সদস্যকে ধাক্কাও দেন। লাঠি চার্জ থামাতে ও সমর্থকদের শান্ত করতে পুরো দল নিয়ে সেখানে যান লিওনেল মেসি। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে মাঠ ছেড়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পুলিশের এমন সহিংস কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। তার মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেনি ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সংস্থা সিবিএফ।
এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য মারাকানা স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন মেসি। তাদের অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ম্যাচের আগে শুরুটা ভালো ছিল না। আমরা দেখেছি কীভাবে তারা মানুষদের পেটাচ্ছিল। সেখানে পরিবারের সবাই ছিল। ফলে পরিবারের কথা ভাবতে হয়েছে। কারণ কী হচ্ছে কেউ জানি না। আমরা ম্যাচ খেলার চেয়েও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তখন ম্যাচ খেলা গৌণ হয়ে পড়েছিল। তার পরেও এমন পরিস্থিতির পর ম্যাচ জয়। ফলে আমার কাছে মনে হয়, এই দলটার জেতা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।’
এই ঘটনা ট্র্যাজেডিতে রূপ নিতে পারতো বলে মেসি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে সিবিএফ এক বিবৃতি দিয়েছে।
সামরিক পুলিশ কঠোরভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনুসরণ করেছে বলে জানায় ব্রাজিলের শীর্ষ ফুটবল সংস্থা, ‘এটি স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ যে ম্যাচ আয়োজন ও পরিকল্পনা অত্যন্ত সতর্কতা ও কৌশলের সঙ্গে করেছিল সিবিএফ। জনসংস্থা, বিশেষ করে রিও ডি জেনিরোর সামরিক পুলিশের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।’
তারা আরও বলেছে, ‘ম্যাচের সব পরিকল্পনা— বিশেষ করে কর্ম ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা রিও ডি জেনিরোতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে নির্ধারণ করেছিলাম। সিবিএফ আরও নিশ্চিত করতে চায় যে ম্যাচের জন্য রিও ডি জেনিরো পুলিশের অনুমোদন সাপেক্ষে কর্ম, নিরাপত্তা ও অপারেশন পরিকল্পনা কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছে।’