ক্রিস্টাল প্যালেস ও লিভারপুলের আগের দুটি ম্যাচে কেউই জিততে পারেনি। শনিবার ঘরের মাঠে তো অলরেডদের পেছনেই ফেলে দেয় ক্রিস্টাল। তবে মোহাম্মদ সালাহর ২০০তম গোলে সমতা ফেরানোর পর ইনজুরি টাইমে হার্ভে ইলিয়টের লক্ষ্যভেদী শটে ১০ জনের দলের বিপক্ষে ২-১ এ নাটকীয় জয় পায় লিভারপুল।
প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েছে ক্রিস্টাল। ম্যাচের আধঘণ্টা না পেরুতেই ভার্জিল ফন ডাইকের বিরুদ্ধে বক্সে ফাউলের অভিযোগ এনে পেনাল্টির আপিল করে তারা। তিন মিনিট ধরে সাইড মনিটরে রিপ্লে দেখার পর বিস্ময়করভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন রেফারি অ্যান্ডি ম্যাডলি। অথচ এডুয়ার্ডকে স্পষ্ট ফাউল করেছিলেন ডাচ ডিফেন্ডার।
কিছুক্ষণ আগেই দারুণ চেষ্টায় জেফারসন লার্মাকে ঠেকিয়ে লিভারপুলকে রক্ষা করেন কিপার আলিসন বেকার। বিরতির ঠিক আগে স্বাগতিকদের রক্ষণভাগের বাধায় সুবিধা করতে পারেনি অলরেডরা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা ঘণ্টা পার হওয়ার আগে আবারও পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে ক্রিস্টাল। বক্সের মধ্যে জ্য ফিলিপ মাতেতাকে ফাউল করেন কুয়ানসাহ। ৯০ সেকেন্ড মনিটর দেখে এবার তাদের পক্ষে রায় দেন ম্যাডলি। ফাউলের শিকার হওয়া মাতেতার শট গোলপোস্টের মাঝ দিয়ে জাল কাঁপায়, ডানদিকে ঝাঁপানো আলিসন কোনও সুযোগ পাননি।
৭৪ মিনিটে ইলিয়টকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন আইয়ু। লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ক্রিস্টাল ১০ জনের হওয়ার পরের মিনিটেই গোল খায়। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস স্বাগতিক ডিফেন্ডার বিপদমুক্ত করতে গেলে বল পান কুর্টিস জোন্স, তিনি বল বাড়িয়ে দেন সালাহর কাছে। মিশরীয় ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শট ক্লাইনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। লিভারপুলের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ গোলের মাইলফলকে নাম লেখান সালাহ, আর প্রিমিয়ার লিগে ১৫০তম গোল করে সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সেরা দশে জায়গা করে নেন।
দুই দলের ম্যাচ টানা তৃতীয় ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু ইনজুরি টাইমে ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। সালাহর বাড়ানো বল পায়ে নিয়ে বক্সের ঠিক সামনে থেকে চোখ ধাঁধানো শটে গোল করেন ইলিয়ট।
এই জয়ে অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য শীর্ষে উঠে গেলো লিভারপুল ১৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আর্সেনাল। শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কিছুক্ষণ পর তারা অ্যাস্টন ভিলার মাঠে নামবে।