টানা তিন হারে আরও পিছিয়ে পড়লো বায়ার্ন

বুন্দেসলিগার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তারা। কিন্তু এই মৌসুমে যেভাবে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছে, তাতে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে বায়ার্ন মিউনিখ। সর্বশেষ বোখুমের কাছে ৩-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ায় শিরোপা লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিনটি ম্যাচ হেরেছে। পরাজয়ে শীর্ষে থাকা লেভারকুসেনের চেয়ে বায়ার্ন পিছিয়ে গেছে ৮ পয়েন্টে। 

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন বায়ার্নের দায়োত উপামেকানো। ম্যাচের শুরু থেকে মনে হয়েছে কোচ থমাস টুখেলের বোধহয় কোনও পরিকল্পনা ছিল না। টানা বাজে পারফরম্যান্সে এখন চাপটা আরও বেড়ে গেছে তার ওপর। 

দুই হার থেকে ফিরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল জার্মান জায়ান্টদের। জামাল মুসিয়ালার গোলে ১৩ মিনিটে সফলও হয় তারা। ১৯ মিনিটে স্কোর ২-০ করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল হ্যারি কেইনের। দুর্ভাগ্য ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পূর্বে তার শট চলে যায় বারের ওপর। এর পর তো আকস্মিক দর্শকদের বিশৃঙ্খলায় ম্যাচ স্থগিত থেকেছে ১৫ মিনিট। জার্মান লিগে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবাদে স্থানীয় দর্শকরা টেনিস বল ছুড়ে মেরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিটি লিগ ম্যাচে দেখা যাচ্ছে এমন দৃশ্য। 

মাঝের এই বিরতি বলা চলে ছন্দে ফেরার সুযোগ করে দেয় বোখুমকে। অপ্রত্যাশিতভাবে ৩৮ মিনিটে তাকুমা আসানোর গোলে সমতা ফেরায় তারা। ৪৪ মিনিটে দ্বিগুণ করে ব্যবধানও। হেড করেছেন কেভেন শ্লটারবেক। তার পর ৭৮ মিনিটে উপামেকানো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে কনুই দিয়ে আঘাত করলে পেনাল্টি পায় বোখুম। তাতে স্টগারের স্পট কিকে ম্যাচটা প্রায় নিজেদের করে নেয় তারা।

৮৭ মিনিটে হ্যারি কেন লিগের ২৫তম গোল তুলে নিলেও সেটা ম্যাচ জমাতে যথেষ্ট ছিল না। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে বোখুম। 

লেভারকুসেন ২২ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা বায়ার্নের সংগ্রহ ৫০ পয়েন্ট।