চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ছায়া ফেলেছে এমবাপ্পে ইস্যু!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আজ শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামছে পিএসজি। প্রতিপক্ষ রিয়াল সোসিয়েদাদ। ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতে সুবিধাজনক স্থানে থাকার পরেও ম্যাচটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। চায়ের টেবিলে ঝড় তুলেছে পিএসজি কোচ এনরিকে ঠিক এই মুহূর্তে এমবাপ্পেকে যেভাবে ব্যবহার করছেন! 

ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্টে এই পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বাজে হারের নজির রয়েছে পিএসজির। কিন্তু এবার যেভাবে তারা অগ্রসর হয়েছে তাতে করে কোয়ার্টার ফাইনাল দূরের মনে হচ্ছে না। ২-০ গোলে জেতা প্রথম লেগে যেমন শুরুর গোলটি ছিল এমবাপ্পের। ওই ম্যাচের পরই ঘটে আসল ঘটনা। ফরাসি ফরোয়ার্ড ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, চুক্তি শেষ হতেই মৌসুম শেষে চলে যাবেন তিনি।

এই মুহূর্তে এনরিকের উচিত এমবাপ্পেকে সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার করা। কিন্তু সেটা না করে এমবাপ্পের খেলার সময় কমিয়ে এনেছেন তিনি। এই যেমন নঁতের বিপক্ষে বেঞ্চ থেকে এসে এমবাপ্পে গোল করে জয়ে অবদান রেখেছেন। রেনের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে ঘরের মাঠে খেলা শুরু করলেও পরে বদলি হয়েছেন ৬৫ মিনিটে! 

মোনাকো থেকে ২০১৭ সালে আসার পর পিএসজির হয়ে প্রায় ৩০০টি ম্যাচ খেলেছেন এমবাপ্পে। এই সময়ে ইনজুরি কিংবা দল জয়ের পথে থাকা অবস্থাতেই বদলি হয়েছেন।

সর্বশেষ শুক্রবারও মোনাকোর বিপক্ষে ড্র করা ম্যাচে বদলি হয়েছেন প্রথমার্ধের পর। সেই ম্যাচেও ইনজুরি কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মাথায় রেখে এনরিকে এমবাপ্পেকে বদলি করেননি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ আসন্ন থাকায় কোচের এমন কৌশল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ওই ম্যাচে আরও কিছু বিষয় চোখেও পড়েছে অনেকের। বিরতির পর দলের সঙ্গে বেঞ্চে না বসে স্ট্যান্ডে গিয়ে মায়ের পাশে বসেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।

সার্বিক অবস্থায় অনেকেরই মনে হচ্ছে এমবাপ্পে কোনও শাস্তির মুখোমুখি হননি তো? পিএসজির সাবেক ডিফেন্ডার ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর এবং বর্তমানে ব্রডকাস্টার কানাল প্লাসে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা অ্যালেইন রশ অবশ্য সেসবকে গুজব হিসেবেই দেখছেন, ‘আমি এসবের মানে বুঝি না। এমবাপ্পে ক্লাব থেকে বিদায়ের কথা বলার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে যে তাকে হয়তো কোচ কিংবা ডিরেক্টাররা শাস্তি দিয়েছেন। আমার মনে হয় এসব বিতর্ক তৈরি করা মোটেও যৌক্তিক নয়। বিশেষ করে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে।’