ফিলিস্তিনের আক্রমণভাগ আটকাতে রক্ষণভাগ দৃঢ় করার চেষ্টা বাংলাদেশের

এশিয়ান কাপে ফিলিস্তিন দারুণ ফুটবল খেলেছে। তাদের আক্রমণভাগ সমীহ জাগানো।  ২১ ও ২৬ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে ফিলিস্তিনের আক্রমণভাগকে কীভাবে সামলাতে হবে তা নিয়ে সৌদি আরবের তায়েফে কাজ করছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরের।

অনুশীলনে শিষ্যদের নিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন তিনি। স্প্যানিশ কোচ বলেছেন,  'সবকিছুই খুব ইতিবাচকভাবে চলছে। দলও সবকিছুর সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিচ্ছে, যেমনটা প্রত্যাশা করেছিলাম। ফিলিস্তিনের আক্রমণভাগ সামলাতে আজ আমরা বিশেষ করে রক্ষণ নিয়ে কাজ করেছি। আক্রমণ প্রতিহত করা নিয়ে কাজ করেছি।'

মূল ম্যাচের আগে সৌদি আরবের অনুশীলন ব্যাপক কাজে দিচ্ছে। তাই সেখানে মানিয়েও নিচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ারা। কাবরেরা বলেছেন, 'সবকিছুই ভীষণ ইতিবাচক। কেবল সিনিয়র নয়, জুনিয়ররাও সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে, এখন পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ায় সবকিছু চলছে, প্রথম সপ্তাহের জন্য আমাদের যে পরিকল্পনা, তাতে আমি ভীষণ খুশি।'

ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আনিসুর রহমান জিকো, মেহেদী হাসান শ্রাবন ও মিতুল মারমার মধ্যে একজনকে দেখা যাবে গোলবার সামলাতে। মিতুল মারমা পরিস্থিতি বুঝে বলেছেন, 'আমরা এখানে অনুশীলন অনেক উপভোগ করছি। কোচ নতুন নতুন টেকনিক নিয়ে কাজ করছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি এবং সবকিছু উপভোগ করছি। জাতীয় দলে সব পজিশন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, এখানেও (জায়গা পাওয়ার) লড়াইটা বেশি। সবশেষ যে ম্যাচগুলোয় আমি খেলেছি, সেসময় জিকো ভাই ছিলেন না। উনি ফিরেছেন। ওই হিসেবে এখানে আমাদের সামনে অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। চেষ্টা করবো, নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে টিমে জায়গা করে নিতে।'

নিজেদের দুর্বল দিক নিয়েও কাজ চলছে বলে জানালেন রাঙামাটি থেকে উঠে আসা এই গোলকিপার, 'এখানে (সৌদিতে) অনেক ভালো ফ্যাসিলিটিজ পাচ্ছি, ট্রেনিং ক্যাম্প, মাঠ, হোটেল সবকিছু ভালো। ওই হিসেবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ফিলিস্তিন ম্যাচে ভালো কিছু করার। প্রতিটি ট্যুরেই নিজেদের যে দুর্বল দিক আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করি। মিগেল অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতার। যার যে দুর্বল দিক, সেগুলো নিয়ে সে কাজ করে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সে কাজ করতে পছন্দও করে।'