ইন্টারকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাতলেতিকো 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগেই পিছিয়ে ছিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। নির্ধারিত সময়ে দারুণ লড়াই উপহার দিয়ে দ্বিতীয় লেগ জিতলেও অ্যাগ্রেগেটে (২-২) থাকে সমতা। তার পর অতিরিক্ত সময় গড়িয়ে ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। রোমাঞ্চকর সেই পেনাল্টি শুটআউটে ইন্টার মিলানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।  

শুটআউটে স্প্যানিশ ক্লাবটির জয়ের নায়ক তাদের গোলকিপার ইয়ান ওব্লাক। দুটি পেনাল্টি সেভ করেছেন তিনি। আর ইন্টারের লাউতারো মার্তিনেজ নিজের শট মেরেছেন বারের ওপর দিয়ে! যা ভাগ্য গড়ে দিতে সাহায্য করেছে। 

প্রথম লেগে এগিয়ে থাকা ইন্টার ৩৩ মিনিটে গোল করে অ্যাতলেতিকোর পথটা কঠিন করে তুলেছিল। গোল করেন ফেডেরিকো ডিমারকো। দুই মিনিট পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেয় অ্যাতলেতিকো। গোল করেন আন্তোয়ান গ্রিজমান। ৮৭ মিনিটে গোল করে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যেতে অবদান রাখেন মেমফিস ডেপাই। কারণ দুই লেগ মিলে তখন স্কোর হয়ে যায় ২-২! 

অতিরিক্ত সময়ে দুই দলেরই সুযোগ ছিল ভাগ্য বদলানোর। সেটি হয়নি বলে ম্যাচটা নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। তাতে কপাল পুড়েছে গতবারের ফাইনালিস্টদের। 

শেষ আটের টিকিট কেটেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডও। তারা শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে পিএসভি আইন্দোভেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। দুই লেগ মিলে জিতেছে ৩-১ গোলে। তিন বছরে এবারই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মান ক্লাবটি। একটি করে গোল করেছেন জেডন সানচো ও মার্কো রয়েস। 

৩ মিনিটে বরুশিয়াকে এগিয়ে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে লোনে খেলতে আসা সানচো। ২০০৭ সালে সর্বশেষ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা আইন্দোভেন বিরতির পর আক্রমণে ধার বাড়িয়েছিল। বদলি হয়ে নামা লোজানো শটও নিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্য সেটি আঘাত করে পোস্টে। শেষ দিকে লুক ডি জংয়ের সুযোগ ছিল ম্যাচটাকে অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তিনি শট নেন বারের ওপর। তার পর যোগ হওয়া সময়ে বরুশিয়ার জয় সুনিশ্চিত করে দেন রয়েস।