সোহাগসহ পাঁচ জনকে ফিফার সাজা

গত বছর এপ্রিলে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বাফুফের তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ফিফা এরপরও অধিকতর তদন্ত চালিয়ে গেছে। ফিফার স্বাধীন নৈতিক কমিটির বিচারক চেম্বার নতুন করে শাস্তি দিয়েছে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে দায়িত্বে থাকাকালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফিফার স্বাধীন নৈতিক কমিটির বিচারক চেম্বার তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ জনকে শাস্তি দিয়েছে।

বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নতুন করে তিন বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ ( প্রায় ২৬ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।

বাফুফের সাবেক প্রধান ফিন্যান্সিয়াল কর্মকর্তা আবু হোসেন, অপারেশন্সের সাবেক ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে দুই বছরের জন্য ফুটবল কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) করে জরিমানা করা হয়েছে।

এই তিন জন ফিফার আচরণবিধির অনুচ্ছেদ ১৪ (সাধারণ দায়িত্ব), অনুচ্ছেদ ১৬ (আনুগত্যের দায়িত্ব) ও অনুচ্ছেদ ২৫ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার) লঙ্ঘন করেছেন।

বাফুফের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। ফেডারেশনের প্রকিউরমেন্ট ও স্টোর কর্মকর্তা ইমরুল হাসান শরিফকে ফিফার সহযোগিতামূলক ট্রেনিংয়ের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আচরণবিধি মানার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।

সালাম মুর্শেদী ও ইমরুল হাসান শরিফের বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ ১৪ (সাধারণ দায়িত্ব) লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

পৃথক শুনানি ও বিশ্লেষণ শেষে প্রদত্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক চেম্বার। দোষী সাব্যস্ত প্রত্যেককে ফিফার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই শাস্তির মেয়াদ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)  থেকে।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার এ প্রসঙ্গে  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ফিফার সিদ্ধান্ত আমাদেরও জানানো হয়েছে। এখন এ নিয়ে নতুন করে কী বলবো?’