ঢাকায় যেভাবে লড়াই করেছিল বাংলাদেশ, কাতারে এসে সেভাবে খেলতে পারছে কোথায়? বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচে আজ মঙ্গলবার লেবাননের বিপক্ষে তাদের ভুলে শুরুতে পেনাল্টি উপহার পেলো লেবানন। তা থেকে এক গোল করে বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার হতাশা নিয়ে বিরতিতে গেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুটি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মোহাম্মদ সোহেল রানা চোট পেয়েছিলেন। হয়তো এই কারণে জামালের অন্তর্ভুক্তি। এছাড়া ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠু নেই। শাকিল হোসেন তার বদলে। ৫-৩-২ ছকে ম্যাচ শুরু হতে না হতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিছু বুঝে ওঠার আগে চাপ নিয়ে নেয়। ভুল পাস আর নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়তে হয় এই অর্ধে।
ম্যাচ শুরুর ৩৫ সেকেন্ডের মধ্যে বাংলাদেশ গোল হজম করতে বসেছিল। গড়বড় পাকিয়ে ফেলেছিলেন তারিক কাজী। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে তারিক গোলকিপার মিতুলকে পাস দিতে গিয়ে আর একটু হলেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিলেন জালে। তবে ভাগ্য ভালো বল পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায় বল।
৩ মিনিটে বাংলাদেশের ভুলে লেবাননের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়। অপেশাদার আচরণ করেন ডিফেন্ডার শাকিল হোসেন। কর্নার থেকে বলের লড়াইয়ে তার জার্সি পেছন থেকে টেনে ধরেন জিহাদ আইয়ুব। তৎক্ষণাত ডান হাত বাড়িয়ে সামনের দিকে দাঁড়ানো এক লেবানিজের চোখে আঘাত দিয়ে বসেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার।
শাকিলকে হলুদ কার্ডের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পঞ্চম মিনিটে হাসান মাতুক স্পট কিক থেকে গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপান।
১৩ মিনিটে লেবানন ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। ওমর চাবান বক্সে ঢুকে কোনাকুনি জোরালো শট নিলেও মিতুল ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল হতে দেননি।
লেবাননের হাইপ্রেসিং ফুটবলের সামনে প্রতি আক্রমণে উঠে গোল করার চেষ্টা বাংলাদেশের। তবে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
১৬ মিনিটে বাংলাদেশ সুযোগ পায়। ডান দিক দিয়ে জামালের পাসে রাকিব বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নেন, তবে প্রতিপক্ষ গোলকিপার এক হাত দিয়ে প্রতিহত করে তাদের সমতায় ফিরতে দেননি। ফিরতি বলে আরেক ডিফেন্ডার পুরোপুরি ক্লিয়ার করে দৌড়ে আসা শেখ মোরসালিন ও ইসা ফয়সালকে শট নিতে কোনও সুযোগই দেয়নি।
৩৩ মিনিটে আবারও লেবানন সুযোগ পায়। কর্নার থেকে বল ঘুরে এসে কাশেম জেইন পেয় সাইড ভলিতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মিতুল জায়গায় দাঁড়িয়ে তা প্রতিহত করে দেন।
যোগ করা সময়ে বাংলাদেশের জন্য আরও দুঃসংবাদ। লেবানন ব্যবধান বাড়ায়। নাসার নাসারের ক্রসে নাদের মাতার বল রিসিভ করে চকিতে শরীর ঘুরিয়ে দারুণ শটে মিতুলকে পরাস্ত করেন। তার সামনে শাকিল ও শরীরের সঙ্গে সেঁটে থাকা তপু কিছুই করতে পারেননি!
বাংলাদেশ একাদশ: গোলকিপার- মিতুল মারমা, ডিফেন্ডার- তপু বর্মণ, শাকিল হোসেন, ইসা ফয়সাল, সাদ উদ্দিন ও তারিক কাজী, মিডফিল্ডার- মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা ও জামাল ভূঁইয়া, ফরোয়ার্ড- শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন।