ঘটনাবহুল ম্যাচে ১০ জনের মোহামেডানকে হারাতে পারেনি আবাহনী

সুযোগ পেয়েও আবাহনী লিমিটেড ১০ জনের মোহামেডানকে হারাতে পারেনি। আক্রমণ প্রতি আক্রমণ নির্ভর ম্যাচটিতে উত্তেজনা কম হয়নি। গ্যালারিতে তাণ্ডবও দেখা গেলো। তাতে করে খেলা বন্ধ থাকলো দুই দফা। শেষ পর্যন্ত দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র দিয়ে শেষ হয়েছে। এর আগে লিগের প্রথম লেগে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডান। 

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শনিবার এই ড্রয়ে লিগ শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগোলো মোহামেডান। আগে থেকেই শীর্ষে থাকা সাদা কালোদের ১২ ম্যাচে পয়েন্ট ৩১। মারুফুল হকের আবাহনী ২৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। 

প্রথমার্ধে অষ্টম মিনিটে রাফায়েল অগাস্তোর ক্রসে সুমন রেজার হেড অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৩৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে গেলেও ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি আরিফ হাসান, বলে স্পর্শ জোরে হওয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ হারান মোহামেডানের এই ফরোয়ার্ড। 

একটু পরই বড় আঘাত মোহামেডানে। সুমন রেজাকে মুখে আঘাতের কারণে ফাউল করে সারাসরি লালকার্ড দেখেন মাহবুব আলম। এই কাণ্ডে ফুঁসে ওঠে গ্যালারি। মাঠে ফ্লেয়ার সহ নানান কিছু ছুড়তে থাকে তারা, ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট পাঁচেক পর ফের শুরু হয় খেলা। 

একটু পর গ্যালারি থেকে মাঠে ফের বোতল ছোড়া শুরু হয়, মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা সমর্থকদের শান্ত করতে গ্যালারির কাছে গিয়ে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী, কর্মকর্তাদের অনুরোধে পরিস্থিতি শান্ত হলে মিনিট দশেক পর আবার খেলা শুরু হয়। 

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় আবাহনী, ৬৫ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। রাফায়েলের চার্জে বক্সে বল হারান মেহেদী হাসান মিঠু। রাফায়েল বলের নাগাল পাওয়ার আগেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে শট নেন গোলকিপার সুজন হোসেন, কিন্তু বল চলে যায় মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পায়ে। ফাঁকা পোস্ট পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন এই ফরোয়ার্ড। 

ছয় মিনিট পর সুলেমানে দিয়াবাতের ক্রসে মোজাফ্ফর মোজাফ্ফরভের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি মোহামেডানেরও। ৮০ মিনিটে কর্নারে সুমনের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ফিরিয়ে মোহামেডানের ত্রাতা গোলকিপার সুজন। এর একটু পর রাফায়েলের হেড শাকিল আহাদ তপু আটকে দিলে পয়েন্ট ভাগাভাগি নিশ্চিত হয় দুই দলের।