২০১৫ সালে সেই সময়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে ট্রফি জেতা হয়নি নাসিরউদ্দিন-মামুনুলদের। সেই দলের কোচ ছিলেন নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ। এরপর আর বাংলাদেশে সেভাবে কোচিং করানো হয়নি। ১০ বছর পর আবারও বাংলাদেশের ফুটবলে সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী ক্রুইফের নাম আলোচনায় এসেছে। সঙ্গে আছেন সেই সময়ের তার সহকারী রেনে কোস্টার।
জুন পর্যন্ত বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে সাইফুল বারী টিটুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই পদে ক্রুইফের নাম বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। আর রেনে কোস্টার এলিট একাডেমির দায়িত্বে!
সেসময় বাংলাদেশকে প্রেসিং ফুটবল খেলিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন ক্রুইফ। জামাল ভূঁইয়াকে প্রথম বাংলাদেশ দলে খেলিয়েছেন তিনি। তবে তার সময়ে খেলোয়াড়দের ডিসিপ্লিন ইস্যু সামনে চলে এসেছিল। এ নিয়ে তখন তোলপাড় কম হয়নি। সেই দায় পরোক্ষে ডাচ কোচ এড়াতে পারেননি। সবমিলিয়ে ২০১৩ সাল থেকে তিন বছর দায়িত্ব পালন করার পর বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল।
বকেয়া বেতন নিয়ে অবশ্য সহকারী রেনে কোস্টার ফিফার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে বড় অঙ্কের জরিমানাও দিতে হয়েছিল কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাফুফেকে। যদিও রেনে কোস্টারের সময় বয়সভিত্তিক দল কিছুটা সাফল্য পেয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে সেই সময় নেদারল্যান্ডসের ক্লাবে ট্রায়ালও দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন কোস্টার।
বাংলাদেশ থেকে ডি ক্রুইফ চলে যাওয়ার পর থেকে সেভাবে কোচিংয়ে নিয়মিত ছিলেন কিনা তা উইকিপিডিয়া ঘেঁটে জানা যায়নি। ক্রুইফ সেই সময় বলেছিলেন পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে আছেন। অ্যামেচার একটি ক্লাবে কাজ করেছেন শুধু।
তবে রেনে কোস্টার বিভিন্ন জায়গায় কোচিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল সেই সময় ছিলেন সহসভাপতি। এবার ক্রুইফ ও কোস্টার সম্পর্কে বাংলা ট্রিবিউনকে সভাপতি বলেছেন, 'যখন কিছু শেয়ার করার বা বলার থাকে, আমি নিজেই বলি অথবা বাফুফে থেকে অফিসিয়াল প্রেস নোট দেওয়া হয়ে থাকে। আশা করি বিষয়টি স্পষ্ট। আপনাকে সরাসরি উত্তর দিতে পারছি না। '
বাফুফের অন্য একটি সূত্র বলছে, এখনও ডাচ কোচদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু হয়নি। আলোচনা চলছে। তার আগেই চারদিকে আলোচনা!