ক্লাব বিশ্বকাপে ঘটলো বর্ণবাদের ঘটনা। রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার অভিযোগ করেছেন, পাচুকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের শেষ মুহূর্তে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসোও জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক ফিফা।
শেষ দিকে যোগ হওয়া সময়ের পঞ্চম মিনিটে জার্মান তারকা রুডিগারের ওপর ফাউলের ঘটনার পর একটা ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তখন রেফারি র্যামন আবাত্তি তার দুই হাত বুকের সামনে আড়াআড়ি করে দেখান- যা মূলত ফিফার বর্ণবাদ বিরোধী প্রটোকল সক্রিয় করার ইঙ্গিত।
সংবাদ সম্মেলনেও বর্ণবাদের ঘটনাটি প্রাধান্য পায়। জিজ্ঞাসা করা হয় ম্যাচের সময় রুডিগার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন কিনা। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ আলোনসো তখন বলেছেন, ‘রুডিগার এটাই বলেছে, আমরা তার কথা বিশ্বাস করি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে জিরো টলারেন্স বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফিফা এখন তদন্ত করছে এটাই বলতে পারি।’
অবশ্য এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি বর্ণবাদের ঘটনাটির সূত্রপাত কোথায়। দর্শকদের পক্ষ থেকে নাকি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের থেকে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা নিশ্চিত নয়। পাচুকা ডিফেন্ডার গুস্তাভো কাব্রাল যিনি রুডিগারের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন, তিনি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কাব্রাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে বর্ণবাদী কিছু কিছু ছিল না। স্প্যানিশ ভাষায় তাকে শুধু কাপুরুষ বলেছি। যেমনটা আমরা আর্জেন্টিনায় বলে থাকি।’
রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ফিফা ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। কারণ এখনও রেফারির প্রতিবেদন হাতে পায়নি তারা।
উল্লেখ্য, ৩২ বছর বয়সী রুডিগার আগেও চেলসি, এএস রোমা এবং মাদ্রিদে খেলার সময় মাঠ ও অনলাইনে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন।