আবাহনী ক্লাবে খাজা রহমতউল্লাহকে শেষ শ্রদ্ধা

বাফুফে সহ-সভাপতি ও আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

আবাহনী ক্লাবই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় কেটেছে আকাশি-হলুদ জার্সি গায়ে। আর সেই ক্লাব প্রাঙ্গণেই তার প্রাণহীন দেহ! সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও হকি সংগঠক খাজা রহমতউল্লাহকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বুধবার সকালে খাজা রহমতউল্লাহকে আবাহনী ক্লাবে নিয়ে আসা হয়েছিল শেষবারের মতো। তার মরদেহর ওপরে ছিল আবাহনীর পতাকা। প্রথম জানাজা হয়েছে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদ্যবিদায়ী সভাপতি নাজমুল হাসান, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।

এসময় নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘রহতমউল্লাহ শুধু সাবেক তারকা খেলোয়াড়ই ছিলেন না, একজন ভাল সংগঠকও ছিলেন। হকির প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ।’

হকি ফেডারেশনের সভাপতি আবু এসরার বলেছেন, ‘হকির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন তিনি। হকির উন্নয়নে তার অনেক অবদান। তাকে কখনও কোনও রাজনীতিতে জড়াতে দেখিনি। তিনি তার যোগ্যতা সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ হকিতেও দেখিয়েছেন।’

আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের মন্তব্য, ‘হকি অঙ্গনের বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। আবাহনীতে ক্রীড়া কমপ্লেক্স হচ্ছে। সেখানে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের তালিকায় তার নামও থাকবে।’

জাতীয় দলের কোচ ও রহমতউল্লাহর সতীর্থ মাহবুব হারুন আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কিছু বলার নেই। রহমত ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অন্যরকম। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। তাকে নিয়ে অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছিল। ইহলোক ছেড়ে তিনি সব কিছুর সমাধান করে দিলেন।’

নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি মসজিদে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় পাইকপাড়া কবরস্থানে খাজা রহমতউল্লার দাফন হয়েছে। হকি ফেডারেশনে মরদেহ নেওয়া হয়নি। ক্ষুব্ধ হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খাজা রহমতউল্লার পরিবারের সদস্যরা।