কোরিয়া সফরে প্রাপ্তি কম নয় হকি দলের

কোরিয়ায় পাঁচটি ম্যাচ খেলে একটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশবিশ্ব হকি র‌্যাংকিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান ১৪, আর বাংলাদেশ ৩১তম স্থানে। তবে শুধু র‌্যাংকিং দিয়ে দুই দেশের অবস্থান বিচার করলে বিশাল ভুল হবে। ইদানীং পারফরম্যান্স একটু খারাপ হলেও হকির অন্যতম পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ান গেমসে চার বার সোনাজয়ী তারা, ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে জিতেছিল রুপা। সেই কোরিয়ার মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যথেষ্ট আশাজাগানিয়া।

১৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসকে সামনে রেখে কোরিয়ায় পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের দল। প্রথম ম্যাচে লড়াই করে হার মেনেছে ৩-২ গোলে। চতুর্থ ম্যাচে ৩-১ গোলে এগিয়েও ড্র করেছে ৩-৩ গোলে। বাকি তিন ম্যাচের ফল ৫-২, ৬-০ ও ৪-১। বাংলাদেশ যে দলের সঙ্গে খেলেছে, কোরিয়ার সেই দলটিই অংশ নেবে এশিয়াডে। জিমি-চয়নদের পারফরম্যান্স তাই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।

জাতীয় দলের মালয়েশিয়ান কোচ গোপিনাথন কৃষ্ণমূর্তি শিষ্যদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত নন, তবে মোটামুটি সন্তুষ্ট। কোরিয়া থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘কোরিয়া সফরে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, কীভাবে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে হয় সেটা খেলোয়াড়রা বুঝতে পারছে। আমাদের কোয়ালিটি খেলোয়াড়ের অভাব আছে, রিজার্ভ বেঞ্চও বেশ দুর্বল। তবে পেনাল্টি কর্নারে আমরা আগের চেয়ে উন্নতি করেছি, বিশেষ করে শেষ দুই ম্যাচে।’

বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে কয়েক দিন অনুশীলন করেই ইন্দোনেশিয়ার পথে রওনা হবে হকি দল। এশিয়াডে আরও ভালো ফল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ গোপিনাথন, ‘সামনে আমাদের কঠিন সময়। এশিয়ান গেমসের বেশি দিন বাকি নেই। বাংলাদেশে ফিরে সব ভুলত্রুটি শুধরে নিতে হবে। কোরিয়া সফরে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। ছেলেরা বুঝতে পেরেছে, আমাদের মান কোন পর্যায়ে আছে আর আমরা কোথায় পৌঁছাতে চাই।’