বাংলা ট্রিবিউনকে এই তারকা ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলে প্রথম সুযোগ পাই। তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জাতীয় দলে খেলতেই হবে। এশিয়ান গেমস হকির মর্যাদা আলাদা, তাই এশিয়াডে খেলতে চেয়েছি সব সময়। আগের তিনটি এশিয়াডে খেলেছি। এবার অংশ নিলে একটা রেকর্ডের অংশীদার হবো।’
বাংলাদেশের একমাত্র হকি খেলোয়াড় হিসেবে মুসা মিয়া চারটি এশিয়াডে অংশ নিয়েছেন। সাবেক মিডফিল্ডারই চয়নের জীবনের আদর্শ, ‘মুসা ভাইকে কাছ থেকে দেখেছি, তার কাছে শিখেছি কীভাবে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হয়। তাকে আদর্শ মেনেই আমি এ পর্যন্ত এসেছি। টানা চারটি এশিয়াডে খেলার কথা চিন্তা করতেই কেমন জানি লাগছে! আমি সত্যি ভাগ্যবান। ২০০৬ দোহা, ২০১০ গুয়াংজু এবং ২০১৪ ইনচনের পর এবার ইন্দোনেশিয়ায় খেলতে যাচ্ছি।’
জাতীয় দলের জার্সিতে ১৫০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন চয়ন। দলে তার পরিচয় পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ হিসেবে। ডিফেন্ডার হয়েও আটটি হ্যাটট্রিক সহ ৫০টির বেশি গোল করা চয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলাদেশের কোচ গোপিনাথন কৃষ্ণমূর্তি, ‘টানা চারটি এশিয়াডে খেলা সোজা কথা নয়। কঠোর অধ্যবসায় চয়নকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য সে একটা বিশাল উদাহরণ।’