ঢাকায় খেলোয়াড় ‘অপহরণ’, দুই ক্লাবের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আগামীকাল (রবিবার) থেকে শুরু হচ্ছে প্রিমিয়ার হকি লিগের দলবদল। তিন বছর পর হতে যাওয়া এই দলবদল শুরুর আগেই উত্তেজনা ছড়ালো। ডিফেন্ডার সারোয়ার মোর্শেদ শাওনকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে— মোহামেডানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছে মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। আবার তাদের এই অভিযোগের জবাবে পাল্টা তীর ছুঁড়েছে সাদা-কালো জার্সিধারীরা।

আজ (শনিবার) নিজেদের আঙিনায় সংবাদ সম্মেলন করে মেরিনার্স নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। ক্লাবটির সহ-সভাপতি আলমগীর কবির বলেছেন, ‘শাওন আমাদের থেকে অগ্রিম ২ লাখ টাকা নিয়েছে। চুক্তিও হয়েছে। বৃহস্পতিবার নওগাঁ থেকে আমাদের ক্লাবে আসার কথা। কিন্তু পরের দিন জানতে পারলাম ঢাকায় আসার পর শাওনকে দুই ব্যক্তি হেফাজতে নিয়ে নেয়। রাতে মোহামেডান ক্লাবে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে থানা-পুলিশ করেও সমাধান হয়নি। শাওন বর্তমানে মোহামেডানের অধীনে আছে। তাদের কাছে এমনটি প্রত্যাশিত নয়। আমরা এর বিচার চাই।’

মোহামেডানের বক্তব্য আর অন্যরকম। ঘটনার বর্ণনাও ভিন্ন। শুক্রবার রাতে মেরিনার্সের কর্মকর্তা ও সমর্থকরা মোহামেডান ক্লাবে গিয়ে শাওনের খোঁজে ভাঙচুর চালিয়েছে, পাল্টা অভিযোগ করে ক্লাবটির হকি কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম বলেছেন, ‘কীসের অপহরণ! কোনও একজন খেলোয়াড় মোহামেডানে খেলতে চায়, এই জন্য আমাদের ক্লাবে এসেছে। সেটা কি অপহরণ বলা চলে? আমাদের ক্লাবে গিয়ে ওরা হামলা করেছে। সেই ফুটেজ আছে।’

এই ইস্যুতে হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, ‘ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড় নিবন্ধিত ফর্মটি যে ক্লাব জমা দেবে ওই খেলোয়াড়টি তার হবে।’