খোরশেদ-আশরাফুলের পিসির দিকে তাকিয়ে হকি দল

এশিয়ান পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের সামনে এবার এসএ গেমস হকির ব্রোঞ্জ পদকই বাংলাদেশের বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা। তবে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই আসছে কিছুটা নবীন দল নিয়ে তাই বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মনে উঁকি দিচ্ছে রৌপ্য জয়ের প্রত্যশা।হকি
ভারতের অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন এসএ গেমসে হকিতে ছয়টি দল অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও আফগানিস্তান ও নেপালের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত হকি ডিসিপ্লিন চার দলের প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এসএ গেমসের হকি অনুষ্ঠিত হবে গোহাটির মাওলানা তায়েবুল্লাহ হকি স্টেডিয়ামে। ২০১০ সালে সর্বশেষ আসরে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ৩-১, নেপালকে ২৪-০ গোলে হারানোর পর পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ও ভারতের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতে। এখানে উল্লেখ্য যে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। 

এবার বাংলাদেশের আক্রমণের অন্যতম উৎস হবে খোরশেদুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামের 'ড্র্যাগ অ্যান্ড ফ্লিক'। পেনাল্টি কর্নারে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে এ দুই পিসি স্পেশালিস্টের অস্ত্রাগারে রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্র। স্কুপ বা উঠিয়ে মারার সঙ্গে কোচ মাহবুব হারুন ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা করছেন। এবারের এসএ গেমসে এ দুই খেলোয়াড়ের ওপর অনেক আশা কোচ হারুনের।

বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড লাইনে কৃষ্ণ কুমার, পুষ্কর খীষা মিমো ও মাইনুল ইসলাম কৌশিক, মাঝমাঠে অধিনায়ক সারোয়ার হোসেন ও রোম্মান সরকার, ডিফেন্সে ইমরান হাসান পিন্টু, গোলপোস্টে জাহিদ হোসেন ও অসীম গোপ দলের নির্ভরযোগ্য নাম। তাদের অভিজ্ঞতা দলের অন্যতম চালিকা শক্তি।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তাদের বেশ কিছু ক্লাব সতীর্থকে দেখতে পাবে গেমসে, বর্তমান পাকিস্তানী কোচ মোহাম্মদ সাকলায়েন দীর্ঘদিন খেলেছেন ঢাকার মাঠে। কাশিফ আলি, অধিনায়ক মো. ইরফানসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড় খেলেছেন ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে। বাংলাদেশ হকি দল আগামী বৃহস্পতিবার গোহাটির উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে।

/আরএম/এমআর/