ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ‘হাতাহাতি’

মোহামেডানকে হারিয়ে ফাইনালে মেরিনার্সকে পেলো আবাহনী

ক্লাব কাপ হকিতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে আবারও ফাইনালে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড। সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিংকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। ফাইনালে শনিবার সন্ধ্যায় আবাহনীর প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেরিনার ইয়াংস।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগে গোল করেও ম্যাচ জিততে পারেনি মোহামেডান। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর ম্যাচে ৫ মিনিটের সময় মোহামেডান এগিয়ে যায় পেনাল্টি কর্নার থেকে। রাসেল মাহমুদ জিমি ও আল নাহিয়ান শুভর কম্বিনেশনে আমিরুল ইসলাম দারুন গোল করেন।

তিন মিনিট পর সাদা কালো সমর্থকদের হতাশ করে আবাহনী ম্যাচে সমতা ফেরায়। ভারতের আব্রাহাম বেলিমাগ্গার পাসে পুস্কর খীসা মিমো পোস্টের সামনে থেকে লক্ষ্যভেদ করেন। তখন ভিআইপি গ্যালারি থেকে নীরব থাকা সমর্থকরা ‘আবাহনী  আবাহনী’ বলে  উল্লাসে ফেটে পড়ছিল।

আবাহনীর কাছে হেরে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান

৩২ মিনিটে আবাহনী লিড নেয়। সতীর্থের পাসে রোমান সরকার পোস্টের সামনে দারুণ গোল করে আকাশী নীল জার্সিধারিদের এগিয়ে নেন। ৫০ মিনিটে আবাহনী তৃতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ায়। রোমান সরকার ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দিতে কার্পণ্য করেননি।

৫৬ মিনিটে মোহামেডান দ্বিতীয় গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে চার্ল ইউরিচ সহজেই পোস্ট কাঁপান।

ম্যাচে শেষ বাঁশি বাজার একদম শেষ মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা। মোহামেডানের জিমি রিভিউয়ের জন্য চড়াও হন আম্পায়াদের ওপর। এরপর এক আবাহনীর খেলোয়াড়কে জিমি ধাক্কা দিলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। এসময় সাবেক খেলোয়াড় ও ফেডারেশন কর্মকর্তা মাহবুব এহসান রানাসহ পুলিশের হস্তক্ষেপে একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষার পর রিভিউ দেখে আম্পায়ার শাহবাজ আহমেদ জিমিকে ডেকে শেষ বাঁশি বাজান। নতুন করে উল্লাস তখন আকাশী নীল জার্সিধারিদের।