কামরুজ্জামানের 'হাফসেঞ্চুরি'

মুহম্মদ কামরুজ্জামান২৩ আগস্ট ১৯৬৭ থেকে শুরু। আজও খেলাধুলা নিয়ে লিখে চলছেন অবিরাম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক রেকর্ড, ইতিহাস লেখা হয়েছে মুহম্মদ কামরুজ্জামানের হাতে। সেই কামরুজ্জামানই অনন্য এক রেকর্ড গড়ছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ক্রীড়া সাংবাদিকতা ও লেখালেখির পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ করবেন তিনি। বয়সে প্রবীণ হলেও এখনও কলম হাতে বেশ তরুণ বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতার এই অগ্রদূত।

এ বিষয়ে কামরুজ্জামান বলেন, ক্রীড়াঙ্গনকে ভালোবেসেই ক্রীড়া সাংবাদিকতায় এসেছি। যতদিন বেঁচে আছি ক্রীড়া সাংবাদিকতা থাকবো।

১৯৬৭ সালে দৈনিক পাকিস্তানে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে জীবন শুরু করেন। বাংলা ক্রীড়া সাংবাদিকদের মধ্যে তিনিই প্রথম স্টাফ রিপোর্টার। স্বাধীনতার পরে দৈনিক পাকিস্তানের নাম পরিবর্তন হয়ে হয় দৈনিক বাংলা। ১৯৯৭ সালে দৈনিক বাংলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করেন ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে।

দৈনিক বাংলার পর বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের ক্রীড়া বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রায় আড়াই বছর। পাশাপাশি জার্মান বাংলা বেতার রেডিও কোলন-এর সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখনও জাতীয় ক্রীড়া পাক্ষিক ক্রীড়া জগতে নিয়মিত কলাম লেখছেন। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কলাম লেখেন তিনি।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে প্রথম ক্রীড়া সাংবাদিক দেশের বাইরে গিয়ে খেলা কাভার করেছেন কামরুজ্জামান। ১৯৭২ সালে ইডেনে টেস্ট ম্যাচ কাভার করেন।

কামরুজ্জামান শুধু সাংবাদিকই নন ক্রীড়াবিদও। দেশের শীর্ষ পর্যায়ে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলেছেন। ক্রিকেটে তার একটি রেকর্ড এখনও অটুট। ২৫ বছরের ব্যবধানে দুই সেঞ্চুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলায় অবদানের জন্য পেয়েছেন ব্লু (ফুটবল)। সাংবাদিকতা পেশায় আসার পর তার সাংগঠনিক দক্ষতারও প্রমাণ পাওয়া যায়। পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠ করেন। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক । তার মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির হাতেখড়ি হয়েছে অনেকেরই। যাদের অনেকেই এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া সাংবাদিক।

/আরএম/এমআর/