ক্রীড়া স্থাপনা যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র

ক্রীড়া স্থাপনাতেই হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনচতুর্থ রোল বল বিশ্বকাপের জন্য নব নির্মিত ভেন্যু শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্মোচন করতে চলেছে নতুন দিগন্ত। দেশে এই প্রথম একটি ক্রীড়া স্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণনের সূচনা করবে পল্টন ময়দানে নির্মিত নতুন এই ক্রীড়া স্থাপনা। 

রোল বল বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মিত এই স্থাপনাটিতে ব্যয় করা হয়েছে ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কিন্তু এটি শুধু একটি ক্রীড়া স্থাপনা নয়, এর ছাদে বসানো হয়েছে আধুনিক একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। যা ২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করকে সক্ষম। খোলা মাঠে সারা বছরই পযাপ্ত সূর্যের আলো পাবে স্থাপনাটি, সেটি ভেবেই নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।

বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ আজ বুধবার বিশ্বকাপের সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন এই তথ্য, ‘নতুন এই ক্রীড়া স্থাপনা টেকসই উন্নয়নের একটি মডেল। এটি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকবে না, বরং আমরা আশা করছি ডিপিডিসি’র কাছে আমরা বিদ্যুৎ বিক্রয়ও করতে পারব।’ দেশের কোনও ক্রীড়া স্থাপনায় এ ধরনের আয়োজন এটিই প্রথম। 

আবুল কালাম আজাদ আরও যোগ করেছেন‘ ‘নতুন কমপ্লেক্স শুধুমাত্র স্কেটিংয়ের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে না, বিভিন্ন ইনডোর গেমসেরও আয়োজন করা যাবে এখানে। তাছাড়া এটি নির্মাণের ফলে চেহারাই বদলে গেছে পল্টন ময়দানের। পুরোপুরি খেলধুলার পরিবেশ বিরাজ করছে এখানে। আশা করি শিশুদের খেলাধুলার বিকাশে সাহায্য করবে এই স্থাপনা।’

/আরএম/কেআর/