৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার পর চললো অভিষিক্ত লুয়ান ড্রে প্রিটোরিয়াসের আধিপত্য। তার ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির দিনে প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারী প্রোটিয়া দল। প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪১৮ রান।
বুলাওয়েতে টস জিতে মূলত প্রিটোরিয়াস-বশের লড়াইয়েই চারশ রানের ভিত পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ উইকেট পতনের পর প্রতিরোধ গড়ে দলকে টেনে তোলেন তিনি। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সঙ্গে যোগ করেন ৯৫ রান। ব্রেভিস ৫১ রানে ফিরলে কাইল ভেরেইনের সঙ্গে প্রিটোরিয়াসের জুটিটা (৩১) খুব বড় হয়নি। ভেরেইন আউট হলে করবিন বশকে নিয়ে গড়েন আরও বড় জুটি। যোগ করেন ১০৮ রান। তাদের ব্যাটেই স্কোরটা তিনশর কাছে গেছে। প্রিটোরিয়াস যখন সাজঘরে ফেরেন ততক্ষণে ইতিহাসে নাম লেখা হয়ে গেছে তার। প্রোটিয়াদের হয়ে অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। রেকর্ড গড়েছেন ১৯ বছর ৯৩ দিনে। শুধু কি তাই? টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে দেড়শ প্লাস রানের রেকর্ডটিও এখন তার। এতদিন সেটি দখলে ছিল পাকিস্তান গ্রেট জাভেদ মিয়াঁদাদের। তিনি ১৯ বছর ১১৯ দিনে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। প্রিটোরিয়াস আউট হয়েছেন ১৫৩ রানে।
অবশ্য প্রিটোরিয়াসের রেকর্ড গড়ার দিনে ভাগ্যদেবীর সহায়ও ছিল। ৩০, ৫৪, ৫৫ এবং ১২৭ রানে- মোট চারবার তাকে জীবন দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তার পর তো ১৬০ বলে ১৫৩ রানে ফিরেছেন।
২৮৯ রানে প্রিটোরিয়াস সপ্তম উইকেট হিসেবে আউটের পর বাকি লড়াইটা চালিয়ে নেন করবিন বশ। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে ১০০ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে শেষ উইকেটে ৯ রানে ব্যাট রয়েছেন মাফাকা।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮৩ রানে ৪টি উইকেট নেন তানাকা চিভাঙ্গা। ৫৯ রানে দুটি নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। একটি করে নিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ভিনসেন্ট মাসকেসা।