আশঙ্কামুক্ত নন শুটার সাদিয়া

আশঙ্কামুক্ত নন সাদিয়া গত ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হন কমনওয়েলথ শুটিংয়ে সোনাজয়ী সৈয়দা সাদিয়া সুলতানা। চট্টগ্রামে চিকিৎসার পর গত শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছিল। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা বলছেন, এখনও আশঙ্কামুক্ত নন সাদিয়া। তবে আশার কথা হলো মুখ পুড়লেও শ্বাসনালী পোড়েনি তার।   

সোমবার সেখানকার আবাসিক সার্জন ডা. হোসাইন ইমাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘সাদিয়ার বুকের ডানপাশ, গলা, ডান হাত সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে যতটুকু পুড়েছে ততটুকু ডিপ বার্ন।’ বাংলা ট্রিবিউনকে এই চিকিৎসক আরও জানান, ‘সাদিয়া আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাকে আমরা এইচডিইউতে রেখেছি। কাল তার ড্রেসিং খোলা হবে। তখনই আমরা বুঝতে পারবো ভেতরের কী অবস্থা।’ তবে সাদিয়া এখনও মানসিকভাবে আগের চেয়ে স্থিতিশীল আছেন বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

রান্না করতে গিয়ে শরীরে আগুন লাগে সাদিয়ার। চুলা থেকে আগুন লাগে তার ওড়নায়। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বাঁ অংশে। আগুনের ঘটনাটা ১৫ অক্টোবরের।  ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকা সাদিয়াকে ভর্তি করা হয়েছিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এই শুটারকে পরে পাঠানো হয় ঢাকায়।

২০১০ সালের কমনওয়েলথ শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছিলেন সাদিয়া। দলগত ইভেন্টে দিল্লির আসর থেকে সোনা জিতেছিলেন তিনি শারমিন আক্তার রক্তার সঙ্গে জুটি গড়ে। তার আগে ওই বছরই এসএ গেমসেও সোনা জিতেছিলেন একই ইভেন্টে। এরপর ২০১৩ সালে সবশেষ ১০ মিটার এয়ার রাইফেল থেকে সাফল্য পান বাংলাদেশ গেমসে। এরপর থেকেই শুটিংয়ের বাইরে রয়েছেন তিনি।

গত চার বছর তিনি একেবারে আড়ালেই ছিলেন খেলার দুনিয়া থেকে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সাদিয়া অসুস্থ। যদিও শুটিং থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণটা রহস্যই থেকে গেছে! সেই রহস্যের মধ্যেই নতুন করে শিরোনাম হলেন সংবাদমাধ্যমে। তাও আবার আগুনে পুড়ে!