সিরিয়া-ইয়েমেনে যেমন চলছে আর্চারি

সিরিয়ার মোহাম্মদ জেকরেকঅনেকেই যখন অনুশীলনে মগ্ন, তিনি তখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভেতরে বিভিন্ন স্টলে সাজানো তীর-ধনুক পরখ করায় ব্যস্ত। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। লক্ষ্য, এশিয়ান আর্চারির ২০তম আসরে অংশগ্রহণ। একাদশ শ্রেণিতে পড়া মোহাম্মদ জেকরেক প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ইংরেজি বলতে পারেন না, তাই ‘দোভাষী’ লেবাননের আর্চার মাজেন হেলাল ভরসা!

গত জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে সিরিয়ার প্রতিযোগী ছিল চারজন। অথচ এবার জেকরেক সিরিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি। স্বদেশের জাতীয় প্রতিযোগিতায় পদকজয়ী জেকরেক বন্ধু হেলালের মাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, ‘রাজধানী দামেস্কে জাতীয় প্রতিযোগিতায় আমি পদক জিতেছি। ঢাকায় রিকার্ভ ইভেন্টে খেলবো। আমার পরিবার থেকে শুধু আমিই আর্চারিতে এসেছি। আগের চেয়ে দেশের অবস্থা ভালো।’

জেকরেক যখন কথা বলছিলেন, তখন তিনি জানতেন না বিশ্ব আর্চারি ফেডারেশনের বার্ষিক চাঁদা না দেওয়ার কারণে সিরিয়া অংশ নিতে পারছে না এশিয়ান আর্চারিতে।  অংশগ্রহণকারী ৩৩টি দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির নাম। জেকরেক তাই এখন শুধুই দর্শক!

ইয়েমেনের নাসের আহমেদসিরিয়ার মতো ইয়েমেনও ক্ষত-বিক্ষত দেশ। যদিও ইয়েমেন থেকে চারজন আর্চার এসেছেন ঢাকায়। তাদের অনুশীলনের অবস্থা একটু অন্যরকম। কোচ থাকেন সৌদি আরবের জেদ্দায়। সেখান থেকেই ইয়েমেনের রাজধানী সানায় গিয়ে শিষ্যদের প্রশিক্ষণ দেন কোচ। আউটডোরে নয়, অনুশীলন হয় ইনডোরে। সেদেশে আর্চারের সংখ্যা মাত্র ২০ জন।

মাত্র চার দিন অনুশীলন করে ঢাকায় আসা ইয়েমেনের নাসের আহমেদ বললেন, ‘আমাদের ওখানে আর্চারি খেলার সমস্যা অনেক। ভেন্যু নেই, আমরা ঠিকমতো খেলতে পারি না।’

ফয়সাল আল কুহলানিও তুলে ধরলেন বেশ কিছু সমস্যা। গত জানুয়ারিতে ঢাকায় ঘুরে যাওয়া ইয়েমেনের কোচ বললেন, ‘আমাদের ভালো তীর-ধনুক নেই। ঢাকায় আমরা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এসেছি। ইনশাল্লাহ, আগামীবার আমরা ভালো করবো।’