জাপান থেকে অর্ণবের সাফল্য নিয়ে ফেরা

শুটিং ফেডারেশনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত অর্ণব। ছবি-শুটিং ফেডারেশনআলিফ হোসেন ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন, সাতক্ষীরা লিগেও খেলেছেন, কিন্তু তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার বেশি দূর এগোতে পারেনি। বড় ছেলে অর্ণব সারার লাদিফকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন। তবে আলিফ হোসেনের স্বপ্নের সীমানায় ক্রিকেট নেই, আছে শুটিং। বিকেএসপির ছাত্র অর্ণব শুধু বাবা নয়, দেশের মুখও উজ্জ্বল করেছেন। দশম এশিয়ান এয়ারগান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের যুব ইভেন্টে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এককে রুপা জিতেছেন গত শনিবার।  

জাপানের ওয়াকো সিটিতে সবাইকে চমকে দেওয়া অর্ণবের আরেকটি কীর্তির কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে দেশের শুটিং ইতিহাসে। যুব অলিম্পিকে সরাসরি কোয়ালিফাই করা প্রথম বাংলাদেশি শুটার তিনি। আগামী অক্টোবরে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে হবে এই প্রতিযোগিতা।

কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের সঙ্গে অর্ণব। ছবি-ফেসবুকমঙ্গলবার গভীর রাতে দেশে ফিরে শুভেচ্ছায় সিক্ত অর্ণব বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় আমার এই সাফল্য। ভবিষ্যতে সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে চাই।’

আলিফ হোসেন এখন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। ছেলের সাফল্যে তার কণ্ঠে খুশির জোয়ার, ‘অর্ণবের সাফল্যের খবর পাওয়ার পর মনে হয়েছে, আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী বাবা। মনে হচ্ছে, ছেলেকে বিকেএসপিতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। সে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।’

১৬ ডিসেম্বর অর্ণবকে সংবর্ধনা দেবে শুটিং ফেডারেশন, তার হাতে তুলে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকার চেক। বিজয়ের দিনে এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে তরুণ শুটারের জীবনে!