শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে সুমিতা সময় নিয়েছেন ১৫ সেকেন্ড। জাতীয় ও সামার অ্যাথলেটিক্স মিলিয়ে ১৮টি স্বর্ণপদক জমা হলো। ২০০৩ সাল থেকে স্বর্ণপদক পেলেও মাঝে কয়েকবার হাতছাড়া হয়েছে সেটা। ২০০৯ সালে জেতা হয়নি। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তো ইনজুরির কারণে জাতীয় আসরে খেলাই হয়নি।
সুমিতার ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং ১৩.৯৯ সেকেন্ড। সেটা ঢাকার এসএ গেমসে। সেখানে অল্পের জন্য স্বর্ণপদক হাতছাড়া হয়েছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কাতেও ২০০৬ সালে রৌপ্যপদক ছিল তার। সর্বশেষ এই বছরে সামার অ্যাথলেটিক্সে ১৫.১০ সেকেন্ড ছিল।
স্বর্ণপদক জেতার পর সুমিতার বক্তব্যে আনন্দের চেয়ে বেশি ঝরলো আক্ষেপ, ‘আমাদের সংস্থা বাংলাদেশ কারা কর্তৃপক্ষের তো মাঠ নেই। আমরা বিকেএসপি গিয়ে অনুশীলন করতাম। বিকেএসপি মাঠ আবার নতুনভাবে প্রস্তুত করায় সেখানে অনুশীলন করতে পারছি না। কাশিমপুরে একটা লেন আছে, ওখানেই অনুশীল করেছি। মাঝেমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এসে অনুশীলন করেছি। গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে এখানে এসে অনুশীলন করা মোটেও সহজ কাজ নয়। তারপরেও করতে হচ্ছে।’
এসএ গেমসে দুটি রৌপ্য জেতা এই হার্ডলার স্বপ্ন দেখা ছাড়তে চান না। আশা আছে আন্তর্জাতিক ট্র্যাকেও ভালো করার, ‘কেন এসএ গেমসে আর পদক জেতা যাবে না? এখনও আমাকে উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিলে অবশ্যই জেতা সম্ভব। গত এসএ গেমসে স্বর্ণ এসেছে ১৩.৯৯ সেকেন্ডে। উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে তার চেয়ে ভালো করতে পারবো। আমি এখনও আশাবাদী এসএ গেমসে ভালো কিছু করতে পারবো। চাপ হবে না এটা আমাদের জন্য।’
দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড হয়েছে একটি। জ্যাভলিন থ্রো ইভেন্টে রেকর্ড গড়েছেন সেনাবাহিনীর মনিরুজ্জামান। ৬৪.০৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছেন তিনি। ২০১২ সালে সেনা বাহিনীর সতীর্থ রাশেদুজ্জামানের ৬৩.৭৪ মিটারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন মনিরুজ্জামান।