মেজবাহকে হারিয়ে দ্রুততম মানব হাসান

বামে দ্রুততম মানবী শিরিন ও ডানে দ্রুততম মানব হাসান। দৌড় শেষ করে হাসান মিয়া যখন ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করলেন, তখন বিজয়ের আবেশ তাকে ঘিরে ধরেছিল। বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ারে অশ্রু আর ধরে রাখতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে অসাধ্য সাধন করে আনন্দে কেঁদেই ফেলেন হাসান মিয়া। জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে প্রথমবার অংশ নিয়ে দ্রুততম মানব হয়েছেন। বিকেএসপির এই অ্যাথলেট হারিয়েছেন সাতবারের দ্রুততম মানব মেজবাহ আহমেদকে! মেয়েদের মধ্যে শিরিন আক্তারকে কেউ টপকাতে পারেননি। সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট।

১০.৮০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হয়েছেন বিকেএসপির হাসান মিয়া। মেজবাহকে হারাতে পারবেন- কোনওদিন তা কল্পনা করেননি। তাই নিজ সংস্থার পতাকা জড়িয়ে এই তরুণ অ্যাথলেটের কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস, ‘মেজবাহ ভাইকে হারাবো, কল্পনাও করিনি। তবে যুব গেমসে ভালো টাইমিং করেছিলাম। তখন বিকেএসপির স্যার বলেছিলেন- নিজের সেরাটা দিয়ে এসো। কাউকে হারাতে না পারলেও নিজের সেরাটা দাও। সেই চেষ্টাই করেছি।’

মার্চে এসএ গেমসেও ভালো কিছু করার লক্ষ্য হাসান মিয়ার, ‘আমার লক্ষ্য আছে ভালো কিছু করব। আমি কেবল নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমার মাত্র শুরু। আমার লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এসএ গেমসে ভালো ফল করার ইচ্ছা আছে।’

নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার ১২.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছেন। এরই সঙ্গে ছুঁয়েছেন সাতবারের রেকর্ডধারী সুলতানা পারভীনকে। সপ্তমবারের মতো স্বর্ণপদক জিতে এই অ্যাথলেট ভাসছেন আনন্দে, ‘খুবই ভালো লাগছে। সাতবার জয়ের রেকর্ড আছে লাভলী আপুর। আমি তার রেকর্ড স্পর্শ করলাম। চিন্তা ছিল এই গেমসে ভালো একটা টাইমিং করে প্রথম হবো এবং সাতবার দ্রুততম মানবী হবো। এখন এসএ গেমসে একটা পদক জিতে আমি ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই।’

জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসের প্রথম দিনে জয়জয়কার ছিল সেনাবাহিনীর। তারা ৫টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৯টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে শীর্ষে আছে। আর ৪টি স্বর্ণ, ৭টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নৌবাহিনী। দুটি স্বর্ণপদক নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বিকেএসপি।