এশিয়ান গেমসে জমকালো উদ্বোধন

মার্চ পাস্টে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা (ছবি: রয়টার্স)অলিম্পিকের পর এশিয়ান গেমসকে ধরা হয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হিসেবে। শনিবার জাকার্তার বুং কার্নো স্টেডিয়ামে হয়ে গেল তারই জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তাতে ৪৫ দেশের ১৪ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট অংশ নেয় মার্চ পাস্টে। ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তের নেতৃত্বে পতাকা হাতে ট্র্যাকে হেঁটেছেন বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা।

জাকার্তা ও পালেম্বাংয়ে এবারের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ১১৭ জন। ১৪টি ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের ৮৬ পুরুষ ও ৩১ মহিলা অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে। পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগেরই দল থাকছে আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, গলফ, কাবাডি, শুটিং, সাঁতার ও কুস্তিতে। ফুটবল, বাস্কেটবল, বিচ ভলিবল, ব্রিজ, হকি ও রোইংয়ে শুধু পুরুষ দল খেলবে। আর ভারোত্তোলনে লড়বে মহিলা দল।

আতশবাজির ঝলকানি ছিল জাকার্তার স্টেডিয়ামেএবারে ইভেন্টের হিসেবে অলিম্পিককেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে এশিয়ান গেমস। ২০১৬ সালের অলিম্পিকে ইভেন্ট ছিল ৩০৬টি। আর এবারের এশিয়ান গেমসে হবে ৪৬৫ ইভেন্টের লড়াই। যদিও অলিম্পিকের তুলনা কেবল অলিম্পিকের সঙ্গেই চলে। তবে উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এশিয়ান গেমস এবার কয়েক কাঠি এগিয়ে যাবে বলে আশা করছে আয়োজক ইন্দোনেশিয়া।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিটি আয়োজক দেশই শৈল্পিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করে। ইন্দোনেশিয়াও তাই করেছে। তবে বর্ণিল এই আড়াই ঘণ্টার আয়োজনে শুরুতেই সপ্তাহ খানেক আগে ভূমিকম্পে নিহত ৪৬০ জনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মোটরবাইকে মঞ্চে উঠলেন উইদোদোচমকও ছিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর স্টেডিয়ামে নাটকীয় প্রবেশ সবাইকে অবাক করেছে। হেলমেট মাথায় লাগিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে মঞ্চে ওঠেন তিনি। তারপরই ঘোষণা করেন এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন, ‘৪৫ দেশের বিশেষ অতিথিদের আগমনে আমরা গর্বিত ও সম্মানিত। ১৮তম এশিয়ান গেমসের আসরে দেখাতে চাই যে আমাদের সবাই একই ভ্রাতৃত্বের ছাতার তলে।’ রয়টার্স