এসএ গেমসের ক্যাম্পে ৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

এডিস মশাসারা দেশে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। ১৫ হাজারেরও বেশি জ্বরে আক্রান্ত, যাদের মধ্যে আছেন ৫ জন খেলোয়াড়।

ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসকে সামনে রেখে ২৩টি খেলার ৬৬৬ জন ক্রীড়াবিদকে নিয়ে চলছে আবাসিক ক্যাম্প। ক্যাম্পেই ৫ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ট্রেনিং কমিটির সদস্য সচিব এ কে সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার জানা মতে ৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। কাবাডি ও খো খো’র দুজন আর বাস্কেটবলের একজন খেলোয়াড়। তারা ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ছিলেন।’

মঙ্গলবার বিওএ ট্রেনিং কমিটির সঙ্গে কয়েকটি ফেডারেশনের জরুরি সভায় ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ কে সরকার জানিয়েছেন, ‘আমরা আবাসিক ক্যাম্পে মশারি দিচ্ছি, সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছি। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ডেঙ্গু নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন।’

ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ক্ষুব্ধ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবুল। তার মন্তব্য, ‘আবাসিক ক্যাম্পগুলোতে সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল। মশারও উপদ্রব আছে। আমরা নিজেরাই খেলোয়াড়দের মশার কয়েল ও স্প্রে সরবরাহ করছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরও নজর দেওয়া উচিত।’

ধানমন্ডি মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অবস্থান। সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফিরোজা করিম নেলী, ‘বিওএ আমাদের কিছুই জানায়নি। আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের সহায়তায় মাসে দুবার মশার ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ক্যাম্পে নিয়মিত মশার কয়েল ও স্প্রে দেওয়া হয়। তবে এত বড় কমপ্লেক্স দেখাশোনার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমাদের তাকিয়ে থাকতে হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে। মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স পরিচ্ছন্ন রাখতে আরও লোকবল প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে বিওএ’র উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুরের বক্তব্য, ‘বিওএ’র মহাসচিব ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে আবাসিক ক্যাম্পগুলোতে নিয়মিত মশার ওষুধ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।’