এক বছরের বকেয়া পুরস্কার পেলেন জিমন্যাস্টরা

89412824_3125333854153757_4450737418999431168_nগত বছর সিঙ্গাপুর ওপেন জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা জিতে এনেছিলেন ১৪ সোনা, ৬ রুপা ও ৮ ব্রোঞ্জ মিলিয়ে জিতে এনেছিলেন ২৮টি পদক।

একটু দেরিতে হলেও জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন পদকজয়ী সেই জিমন্যাস্টদের সংবর্ধনা দিয়েছে। রবিবার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সোনাজয়ীদের ২০ হাজার, রুপাজয়ীদের ১৫ হাজার এবং ব্রোঞ্জজয়ীদের ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জিমন্যাস্টদের হাতে অর্থ পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

তনু রায় ত্রিপুরা, ম্যানটন ম্র, মং চিং প্র, কিলেং মুরাং, সাজিদ হক ও নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আলী কাদের হক দেশকে এই সম্মান এনে দেন। তনু রায় একাই জেতেন ৫টি সোনা ও দুটি রুপা। সংবর্ধনা পেয়ে তনু বলেছেন, ‘আমি আসলে ভাবিনি এতগুলো পদক জিততে পারবো। তবে একটা আশা নিয়েই শুরু করেছিলাম। পরে দেখা গেলো ৫টি সোনা ও ২টি রুপা জিতে নিয়েছি।’

সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে টানা সাত মাস স্থানীয় কোচদের অধীনে নিবিড় প্রশিক্ষণে ছিলেন এই জিমন্যাস্টরা। বিকেএসপির নবম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ বলেছেন, ‘ আমার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বলে একটু ভয় ছিল মনে। তবে বিশ্বাস ছিল ভালো করবো। অংশ নেওয়ার আগে টানা সাত-মাস আমরা টানা অনুশীলন করি। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বড় জিমন্যাস্ট হতে সহায়তা করবে।’

তবে জুনিয়র আসরে সাফল্য পেলেও সিনিয়রদের মধ্যে সেই ধারাবাহিকতা দেখা যায় কমই। এর ব্যাখ্যায় জিমনাস্টিক ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন আর্থিক সঙ্কটকে দায়ী করেছেন, ‘আমরা তাদের জন্য একটা ভাল বিদেশি কোচ খুঁজে দিতে পারিনি। এ কারণেই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আমাদের ছেলেরা ভাল করলেও সেটা জাতীয় পর্যায়ে ধরে রাখা সম্ভব হয় না।’

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলু ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুর দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘ছয়টি খেলার সঙ্গে ভাগাভাগি করে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হয়। আমাদের নিজস্ব একটা জিমনেশিয়াম থাকলে ভবিষ্যতে আমরা বড় মঞ্চ থেকে পদক এনে দেবো।’