বাস্কেটবল লিগ নিয়ে ফেডারেশন-ক্লাবের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

না খেলার কারণ ব্যাখ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ৬ ক্লাববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) শুরু হয়েছে প্রিমিয়ার বাস্কেটবল লিগ। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ১০ দলের। কিন্তু ৬ দলকে বাইরে রেখে লিগ শুরু করায় ফেডারেশন ও অংশ না নেওয়া ক্লাবগুলো পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

অংশ না নেওয়া ৬ ক্লাব হলো- দ্য গ্রেগোরিয়াস, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস, দ্য গ্রেগস, শাওনস ক্লাব, ঈগলস ক্লাব ও ফ্লেইম বয়েজ। এই ক্লাবগুলো সংবাদ সম্মেলনে না খেলার পেছনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে।

৬ ক্লাবের পক্ষে কথা বলেন ঈগলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আকলাস হোসেন, দ্য গ্রেগোরিয়াসের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক খন্দকার তানভীর, শাওনস ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদ আখতার ও ফ্লেইম বয়েজের কর্মকর্তা প্রান্ত।

সৈয়দ আকলাস হোসেন নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘বাস্কেটবল খেলার অধিকাংশ খেলোয়াড় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তাই খেলোয়ারদের স্বাস্থ্যঝুঁকি চিন্তা করে প্রিমিয়ার ডিভিশনের ৬ দল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে লিগ আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ফেডারেশন সেটা মানেনি।’

শুরু হওয়া লিগে অংশ না নেওয়ার কারণ করোনাভাইরাস। এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে আমরা এই লিগে অংশ নিচ্ছি না। কিন্তু আপনারা জেনে থাকবেন, এই ক্লাব ছয়টির বাস্কেটবলে অবদান অনেক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা দল গঠন করি বলেই প্রায় শতাধিক খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পায়। যেটা এবার তারা পাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, লিগের জনপ্রিয়তা বাড়াতে আমরা অতীতে বিদেশ থেকেও ভালমানের খেলোয়াড় নিয়ে এসেছি। অথচ ফেডারেশন আমাদের কথা না রেখে শতাধিক খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।’

যদিও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একে সরকার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘সব নিয়মনীতি মেনেই লিগ শুরু হয়েছে। ৬টি ক্লাবকে গত আগস্টে চিঠি দিয়ে খেলার কথা বলা হয়েছিল। এবারও তাদের নিয়ে সভাপতি সভা করেছেন। ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদানও দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তাতে সায় দেয়নি ওই ক্লাবগুলো। বরং সেখানে তারা বলেছে, খেলা না পেছালে খেলবে না। এখন করোনা কবে শেষ হবে তা তো কেউ বলতে পারে না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই লিগ শুরু হয়েছে।’

এরপর এই কর্মকর্তা যোগ করলেন, ‘এখন আমাদের সামনে কঠিন সূচি। অনেক খেলা। তাই খেলা পেছানো কঠিন। অন্য ক্লাবগুলো তো খেলার জন্য তৈরি। আর কোনও খেলোয়াড় বসে নেই। সবাই কোনও না কোনও ক্লাব বা সার্ভিসেস দলে খেলছে। এছাড়া আমাদের বাস্কেটবল কোর্টও ভেঙে ফেলা হবে। আমাদের হাতে সময় কম। তাই আমরা যেই দল পেয়েছি, তাদের নিয়ে লিগ শুরু করে দিয়েছি।’