আজও তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলেন না কেউ

২০১৬ সালে ভারতের এসএ গেমসে জোড়া সোনা জিতেছিলেন মাহফুজা খাতুন। ৫০ ও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে। এরপর থেকে সেভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া হয়নি তার। ২০১৯ সালে নেপালের এসএ গেমসের আগে তো জাতীয় দল থেকে অবসরই নিয়ে ফেলেন! কিন্তু ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ঠিকই তার রাজত্ব চলছে। ২০১৯ সালে জাতীয় প্রতিযোগিতার পর এবারের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসেও ৫০ ও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সেরা মাহফুজা। নৌবাবাহিনীর এই সাঁতারুর রিলেতে আছে আরও দুটি সোনার পদক।

২০০৩ সাল থেকে জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলছেন মাহফুজা। শুরু থেকেই ৫০ ও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনা জিতে আসছেন। তার সাফল্যে এখন পর্যন্ত কেউ ভাগ বসাতে পারেনি। এখন তার বয়স ৩২ চলছে। এই বয়সেও মাহফুজা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পুলে ঝড় তুলে যাচ্ছেন।

সাফল্যের রহস্য বাংলা ট্রিবিউনের কাছে উন্মোচন করেছেন তিনি, ‘আমি আমার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। কঠোর পরিশ্রম করছি তাই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। এছাড়া সবসময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করে থাকি।’

জাতীয় দল থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন। সেখানে আর ফিরে তাকাতে চাইছেন না এই স্বর্ণকন্যা, ‘নেপালের এসএ গেমসের আগেই জাতীয় দল থেকে বিদায় নিয়েছি। পারিবারিক কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলা সম্ভব নয়। ক্যারিয়ারে যতদিন পেরেছি জাতীয় দলকে সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

জাতীয় দল ছাড়লেও ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় আরও কিছুদিন খেলার ইচ্ছা তার। তবে নতুন অনেক খেলোয়াড়ই উঠে আসছে, তাই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন মাহফুজা, ‘আমি আসলে কতদিন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবো তা বলতে পারছি না। হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে হতে পারে। তবে এরই মধ্যে অনেকেই উঠে আসছেন। তাদের পারফরম্যান্স ভালো। এখন আমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

নৌবাহিনীর আধিপত্য দিয়ে শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস সাঁতার প্রতিযোগিতা। মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ডাইভিং, ওয়াটারপোলো ও সাঁতার মিলিয়ে ৪২ ইভেন্টের নিষ্পত্তি হয়। শীর্ষে থাকা নৌবাহিনী ৩৩টি সোনা জিতেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেনাবাহিনীর অর্জন ৯ সোনা। বিকেএসপি ১ রুপা ও ৪ ব্রোঞ্জ নিয়ে দলগতভাবে তৃতীয় স্থান পেয়েছে।