শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কারে সালাউদ্দিন-রোমানদের উচ্ছ্বাস

শহীদ শেখ কামালের সঙ্গে তার ছিল গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। শেখ কামালের কারণে আবাহনী ক্রীড়া চক্রে নাম লিখিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। এরপরই ‘আবাহনীর সালাউদ্দিন’ হিসেবেই তার ব্যাপক পরিচিতি। সেই প্রয়াত বন্ধুর নামেই প্রথমবারের শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পেয়েছেন দেশের ফুটবলের জীবন্ত এই কিংবদন্তি। আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।

শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিনে সাত ক্যাটাগরিতে ১০ ক্রীড়া ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা ও সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন, কোচ কিংবা সংগঠক হিসেবে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। স্বাধীনতা পদক ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও পেয়েছেন আগেই। কিন্তু শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পেয়ে  অন্যরকম অনুভূতির কথা জানালেন বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব সামলানো এই কিংবদন্তি, ‘সব পুরস্কারের চেয়ে আমার কাছে এই পুরস্কারের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অন্যরকম। আমি খুব আনন্দিত যে এই পুরস্কার পেয়েছি।’

এই পুরস্কারের পেছনে সালাউদ্দিনের অন্যরকম আবেগ কাজ করছে। শহীদ শেখ কামাল তার বন্ধুই ছিলেন না, তার সঙ্গে ছিল অন্যরকম সম্পর্ক। শেখ কামালকে স্মরণ করে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘শেখ কামাল এত অল্প বয়সে এত অল্প দিনে যা করেছে, তা সত্যিই অসাধারণ। ও বেঁচে থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আরও এগিয়ে যেতে পারতো।’

শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন- মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আর্চারি) ও মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারোত্তোলন)। ক্রীড়া সংগঠক- মনজুর কাদের ও ক্য শৈ হ্লা। উদীয়মান ক্রীড়াবিদ- আকবর আলী (ক্রিকেট), ফাহাদ রহমান (দাবা) ও উন্নতি খাতুন (ফুটবল)। ক্রীড়া ফেডারেশন- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ক্রীড়া সাংবাদিক- মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। পৃষ্ঠপোষক- ওয়ালটন।

পুরস্কার নিচ্ছেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত২০১৬ এস এ গেমসে রেকর্ডসহ দুই স্বর্ণপদক পাওয়া সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলাও উচ্ছ্বসিত, ‘ক্যারিয়ারে অনেক পুরস্কারই পেয়েছি। এই পুরস্কারটি একটু ভিন্ন ধরনের। যিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ, তার নামে পুরস্কার পাওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেটা আসলেই স্মরণীয় একটি বিষয়।’

টানা দুটি এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছেন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন এই পদককে, ‘আমরা ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে ভালো কিছু করতে চাই। এ রকম সম্মাননা, পদক আমাদের ভালো কিছু করতে সামনে উদ্বুদ্ধ করে।’

টোকিও অলিম্পিক খেলেছেন রোমান সানা। অলিম্পিক থেকে দেশে ফেরার পরই এই পদক পাওয়ায় আনন্দিত তিনি, ‘আসলেই খুব ভালো লাগছে। অলিম্পিক থেকে আসার পর এই পদক আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে সামনের দিকে আরও ভালো করার জন্য।’