অঘটন ঘটতে দেয়নি ব্রাজিল

কাতারের লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে হলুদ জার্সিধারিদের বেজায় ভিড় ছিল। সবাই মিলেছে একই মোহনায়। উৎসবের আমেজে রাতের কৃত্রিম আলেতে প্রিয় দলের খেলা দেখতে এসে কাউকে নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়নি। মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপে শুরুর ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে সেলেসাওরা।

দুই দিন আগে এই মাঠে আরেক ফেভারিট আর্জেন্টিনার হারের দগদগে ঘা এখনও শুকায়নি। এরপর হার দেখেছে চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিও। তাই লুসাইলে ব্রাজিলের শুরুর ম্যাচ নিয়ে কিছুটা হলেও শঙ্কা ছিল। পয়েন্ট না হারিয়ে বসে প্রফেসর তিতের দল! ম্যাচ শুরুর আগে লুসাইল স্টেডিয়ামে ঢোকার আগে কথা হয় দলটির একজন সমর্থকদের সঙ্গে। তার অবয়বে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও আশাবাদী ছিলেন। বলছিলেন, ‘ব্রাজিল আজ জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে। যদিও এই বৈশ্বিক আসরে আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানি শুরুটা ভালো করতে পারেনি। তবে আমাদের দল তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে।’ তার প্রত্যাশা পূরণ করেছে নেইমাররা।

লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে ৮০ হাজার দর্শক -সমর্থকদের গগনবিদারী চিৎকারে কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম। নেইমার-রিচার্লিশন-ভিনিসিয়ুসদের পায়ে বল এলেই প্রায় পুরো স্টেডিয়াম যেন উৎসবের উপলক্ষ খুঁজে পায়!

প্রথমার্ধে ব্রাজিল আক্রমণ করেও গোল পায়নি। পারেনি লক্ষ্যভেদ করতে। তবে বিরতির পর ভাগ্য খুলে যায়। প্রায় একচেটিয়া খেলে জয় তুলে নিয়েছে হেক্সা মিশনে আসা দলটি। একজন রিচার্লিশনের জাদুতে মুগ্ধ সমর্থকরা।

৬২ মিনিটে ডি বক্সের কাছ থেকে রিচার্লিশন বা পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান। ৭৩ মিনিটে পায়ের দারুণ কাজে দ্বিতীয় লক্ষ্যভেদ করে সার্বিয়াকে ব্যাকফুটে ফেলে দেন টটেটনহ্যামের এই স্ট্রাইকার। এরপর লাতিন ফুটবলের পসরা আরও মেলে ধরে আক্রমণ কম হয়নি। তবে তা পোস্টের এদিক সেদিক দিয়ে গেলে ব্রাজিলের গোলের সংখ্যা বাড়েনি।

গোলসংখ্যা না বাড়লেও সমর্থকরা বেজায় খুশি। প্রেসবক্স লাগোয়া উঁচু গ্যালারির এক পাশে বাবা তার কয়েক বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে বার বারই হাই ফাইভ করে নিলেন।

আসলে হলুদ জার্সিধারিদের মনে তখন আনন্দের ফল্গুধারা বইছিল। কাতার বিশ্বকাপ মিশনে এসে যে শুরুটা দেখার মতোই হয়েছে!