পেলে-ম্যারাডোনার কাতারে মেসি

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাতে পুরো আর্জেন্টিনায় জনতার ঢল। রাতভর চলে উদযাপন। ঈশ্বরের আসনে মেসি। পাশে আছেন আরও একজন। ম্যারাডোনা, ডিয়েগো ম্যারাডোনা।

মহামহিম পেলের হিমালয়সম অস্তিত্ব বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল ১৯৮৬ সালে তার হাত ধরেই। রাতারাতি সর্বকালের সেরা লড়াইয়ে সেই সময় থেকেই আর একমেবাদ্বিতীয়ম থাকেননি পেলে। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে তিনটি যুগ। এখন পেলে-ম্যারাডোনার সঙ্গে একাসনে মেসিকেও রাখতেই হবে।

ডিয়েগো আর নেই। কিন্তু যদি মৃত্যু-পরবর্তী জীবন বলে কিছু থাকে, আজ নিশ্চয়ই আশ্চর্য হাসিতে ফেটে পড়ছেন তিনি। দেখছেন, লিও কী অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে ফেলেছেন!

আফসোসও কি হচ্ছে তার? যদি ২০১০ সালে তিনি কোচ থাকা অবস্থায় মেসি জিততেন বিশ্বকাপ?

সেই আফসোস ছাপিয়ে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে জাদুকর মেসির কথা ভাবতে বসলে আনন্দাশ্রু বয়ে যাবে না তার চোখেও? আজ থেকে যে দুটো নাম আরও বেশি করে পাশাপাশি উচ্চারিত হবে তার দেশে। মেসি-ম্যারাডোনা।

জীবদ্দশায় রিক্ত হাতে ফেরা মেসিদের কান্নার দৃশ্যই দেখেছেন তিনি। কিন্তু এবার ঈশ্বর দুহাত ভরিয়ে দিলেন। বিশ্বকাপের পাশাপাশি গোল্ডেন বলেরও মালিক মেসি। মাথা উঁচু করে বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেন আর্জেন্টাইন তারকা।

নিশ্চয়ই স্বর্গ থেকে এককালীন ছাত্রের কীর্তি স্থাপন দেখলেন ম্যারাডোনা। মেসিকে ’২২-এর ম্যারাডোনা হতে দেখে নিশ্চিতভাবেই তার থেকে গর্বে বুকটা ভরে উঠেছে ‘৮৬-এর ডিয়েগোর।