মেসিকে নিয়ে স্ত্রী আন্তোনেলার আবেগঘন পোস্ট

‘এখন তুমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’

ক্লাব, জাতীয় দলের হয়ে বহু ট্রফি ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতা থাকলেও বিশ্বকাপ ট্রফি ছিল লিওনেল মেসির জন্য অনন্ত আক্ষেপ হয়ে। ৪ বার বিশ্বকাপ খেললেও ট্রফির কাছে যেতে পারেননি ফুটবল জাদুকর। ২০১৪ সালে তো বিশ্বকাপ জেতার খুব কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে, ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসির। ৮ বছর পর ঘুঁচলো অপেক্ষা, মেসি উঁচিয়ে ধরলেন শিরোপা। মেসির এমন সাফল্যে খুব স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো। মেসিকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করেছেন তিনি।

রবিবার রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে মাতে আলবিসেলেস্তেরা। পুরো আসরেই ধারাবাহিকতা দেখান মেসি। কাতার বিশ্বকাপে ছন্দময় ফুটবল উপহার দিয়ে অসংখ্য রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন ফুটবলের এই জাদুকর।সপরিবারে লিওনেল মেসি

আগের চারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি। ২০০৬ সালে মেসির প্রথম বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। ২০১০ সালে ফেভারিট হিসেবেই দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় মেসিরা। কিন্তু সেবারও জার্মানি-বাধা পেরুতে পারেনি তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ ব্যবধানে হেরে মেসির দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শেষ হয়। ২০১৪ সাল তো মেসির জন্য দুঃখগাথা। সাদামাটা দল নিয়েও মেসির অসাধারণ পারফরম্যান্সে ফাইনাল খেলে আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু ব্রাজিলের মারকানায় জার্মানির বিপক্ষে ১১৩ মিনিট গোল খেয়ে আরও একবার শিরোপা বঞ্চিত হয় মেসি।

মেসির এসব কষ্ট, সংগ্রাম, পরিশ্রম সবকিছু খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আন্তোনেলা লিখেছেন,  'বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমি কীভাবে আমার অনুভূতি জানাবো বুঝতে পারছি না। আমরা তোমার জন্য ভীষণ গর্ব অনুভব করছি মেসি। কখনোই হাল ছেড়ে না দিতে, শেষ অবধি লড়াই করতে শেখানোর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। অবশেষে সম্ভব হয়েছে। তুমি এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমরা জানি তুমি এত বছর ধরে কী কষ্ট পেয়েছো, তুমি এটা অর্জন করতে চেয়েছিলে! এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা।'

রবিবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার পর মাঠে ছিলেন খেলোয়াড়দের স্ত্রী-সন্তানরা। নিজেদের বিশ্ব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চেয়েছেন স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরো পরিবারের ট্রফি জয়ের উৎসবের নানা মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।