স্টেফেন্সের ইউএস ওপেন জয়

শিরোপা হাতে স্টেফেন্সছয় সপ্তাহ আগেও র‌্যাংকিংয়ে ৯৫৭ নম্বরে ছিলেন স্লোন স্টেফেন্স। পায়ের চোট তাকে নামিয়ে দিয়েছিল অনেক নিচে। ১১ মাস পর ফিরেছিলেন উইম্বলডনে। প্রথম রাউন্ডেই নিয়েছিলেন বিদায়। কিন্তু দুই মাসে অনেক কিছু বদলে গেছে তার। ১৬ ম্যাচের ১৪টি জিতে অবাছাই এ আমেরিকান উঠলেন প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে। জিতলেন ইউএস ওপেন শিরোপা।

আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে শনিবার গ্যালারি মুখরিত ছিল আমেরিকানদের উৎসাহ-উদ্দীপনায়। কারণ তারা নিশ্চিত ছিল তাদের ঘরেই থাকছে ইউএস ওপেন শিরোপা। প্রতিপক্ষ দুজনই যে আমেরিকার। স্টেফেন্সের মতো তার স্বদেশী ম্যাডিসন কিসেরও এটি প্রথম ফাইনাল। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বও বেশ। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পর পেশাদারিত্ব হয়ে উঠলো তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

২৪ বছর বয়সী স্টেফেন্স ১৫তম বাছাই কিসকে হারিয়েছেন ৬-৩, ৬-০ গেমে। উন্মুক্ত যুগে মেয়েদের এককে পঞ্চম অবাছাই হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্লামে চ্যাম্পিয়ন হলেন র‌্যাংকিংয়ের ৮৩ নম্বরে থাকা এ তরুণী।

২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জেনিফার ক্যাপ্রিয়াতির পর উইলিয়ামস পরিবারের বাইরে প্রথম কোনও আমেরিকান মেয়ে গ্র্যান্ড স্লামে চ্যাম্পিয়ন হলো।

জয়ের পর কিসের অভিনন্দন পেলেন স্টেফেন্স২.৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড জয়ের পর বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝে দুলছিলেন স্টেফেন্স। তবে ছোটবেলার বন্ধুকে হারানোর পর উচ্ছ্বাসের লাগাম টেনে ধরেছেন তিনি, ‘জানুয়ারিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল আমার। তখন যদি কেউ বলতো আমি ইউএস ওপেন জিতব, সঙ্গে সঙ্গে বলতাম অসম্ভব। এ পথচলা দারুণ। আর এ প্রতিযোগিতায় ম্যাডিসন ছিল আমার অন্যতম সেরা বন্ধু। আমি তাকে বলেছিলাম ম্যাচটা যদি ড্র হতো।’