টেনিস কোর্টে ফেদেরার-নাদাল জুটি!

fed-nadরজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের লড়াই দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে টেনিসপ্রেমীরা। কিন্তু টেনিস কোর্টে জুটি বেঁধে দুই তারকার লড়াইয়ের দৃশ্য যেন কল্পনাতীত! এমন অবিস্মরণীয় ঘটনারই জন্ম হলো লেভার কাপের সৌজন্যে। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে শনিবার ৮১ মিনিটের জন্য থমকে গিয়েছিল টেনিস বিশ্ব, কারণ প্রথমবার কোর্টে দেখা গেছে ফেদেরার-নাদাল জুটিকে।

টেনিসপ্রেমীরা তো বটেই, টেনিস খেলোয়াড়রাও দুজনকে জুটি বেঁধে খেলতে দেখে রোমাঞ্চিত। হার্ডকোর্টের এই টুর্নামেন্টে টিম ওয়ার্ল্ডের বিপক্ষে টিম ইউরোপের হয়ে খেলছেন নাদাল-ফেদেরার। দুই কিংবদন্তির সতীর্থ টমাস বার্ডিচ বলেছেন, ‘যখনই ঘোষণা করা হলো তারা একসঙ্গে নামতে যাচ্ছেন, তখন থেকেই সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। এটা টেনিস বিশ্বে উদযাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছে।’

১৩ বছরের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ভুলে কোর্টের একই পাশে যখন নাদাল-ফেদেরার, তখন তো এ ম্যাচই ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই হওয়ার কথা। লেভার কাপের দ্বিতীয় দিনে এলো সেই ক্ষণ। তিন দিনের এ লড়াইয়ে বিশ্বের বিপক্ষে ইউরোপকে ৯-৩ পয়েন্টে এগিয়ে দেন নাদাল-ফেদেরার। মার্কিন জুটি স্যাম কুয়েরি ও জ্যাক সককে হারিয়েছেন সুইস-স্প্যানিশ তারকা জুটি। দুই বছর পর দ্বৈত ম্যাচে নেমে নাদালের সঙ্গে দাপটে খেলেছেন ফেদেরার।

কিন্তু প্রথমবার জুটি গড়লেও দুজনের মধ্যে লড়াই শেষ হচ্ছে না বলে জানালেন ফেদেরার, ‘আমরা যতদিন কোর্টে থাকবো, ততদিনই প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবো। এই ম্যাচের পর আমরা আবার প্রতিদ্বন্দ্বী হবো।’ অবশ্য এই ম্যাচটিকে ‘বিশেষ’ আখ্যা দিয়েছেন রেকর্ড ১৯টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী, ‘এটা ছিল বিশেষ কিছু। বুঝতে পারলাম, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার (নাদালের) ওপর আস্থা রাখা যায়, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও চিন্তাভাবনা ছিল মজার।’

fed-nad 2অন্যদিকে নাদালের কাছে এ অভিজ্ঞতা ‘অবিস্মরণীয়’। ১৬টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী ‘রাফা’ অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘ফেদেরারকে আমার পাশে পাওয়া বিশাল অর্জন। আমি অনেক সময়ই এটা চেয়েছি, আজ আমার আশা পূর্ণ হলো। অবিস্মরণীয় একটা দিন, আমি খুব উপভোগ করেছি।’

নাদাল-ফেদেরারের সঙ্গে ইউরোপ দলে আরও আছেন আলেক্সান্দার জেরেভ, মারিন চিলিচ, ডোমিনিক থিয়েম ও ফার্নান্দো ভার্দাস্কো। বিশ্ব দলের হয়ে খেলছেন স্যাম কুয়েরি, জন ইসনার, নিক কিরগিওস, জ্যাক সক, ডেনিস শাপোভালোভ, ফ্রান্সেস টিয়াফো ও থানাসি কোক্কিনাকিস।

শেষ দিনে হবে একটি দ্বৈত ও তিনটি একক লড়াই। তৃতীয় ও শেষ দিন প্রত্যেক ম্যাচে তিনটি করে পয়েন্ট পাবেন ম্যাচজয়ীরা। প্রথম দিন প্রত্যেক ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট ও দ্বিতীয় দিন দুটি করে পয়েন্ট এসেছে। সবার আগে ১৩ পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন। অর্থাৎ আর চার পয়েন্ট দরকার বিওর্ন বোর্গের ইউরোপ দলের। অন্যদিকে শিরোপার জন্য আরও ১০ পয়েন্ট পেতে হবে জন ম্যাকেনরোর বিশ্ব দলকে। টেলিগ্রাফ, বিবিসি