অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন ‘রানী’ কে?

সোফিয়া কেনিন ও গাবরিন মুগুরুজা- দুজনই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেদুটি গ্র্যান্ড স্লাম আছে নামের পাশে। তবে গারবিনিয়া মুগুরুজা প্রথমবার উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে। অন্যদিকে সোফিয়া কেনিনের কোনও গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাই নেই। তাই এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মেয়েদের একক যে নতুন ‍চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে, সেটা নিশ্চিত হয়ে যায় তারা ফাইনালে নাম লেখানোর পরই। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের নতুন ‘রানী’ কে হচ্ছেন, জানা যাবে আজই (শনিবার)।

রাশিয়ায় জন্ম হলেও কয়েক মাস পরই পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন কেনিন। আমেরিকান খেলোয়াড় হিসেবে নতুন ইতিহাস লেখানোর অপেক্ষায় ২১ বছর বয়সী তরুণী। উইলিয়ামস দুই বোন- সেরেনা ও ভেনাসকে একপাশে রেখে হিসাব কষলে ২০০৫ সালে লিন্ডসে ড্যাভেনপোর্টের পর প্রথম আমেরিকান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ‍ওপেনের শিরোপা জেতার হাতছানি তার সামনে।

২০১৫ সালে ইউএস ওপেনের জুনিয়র পর্যায়ের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেনিনের। সিনিয়র পর্যায়ে ২০১৯ সালটা কেটেছে স্বপ্নের মতো। তিনটি ডাব্লিউটিএ শিরোপা জিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে দেন বড় লাফ। মেলবোর্ন পার্কে ১৪তম বাছাই হিসেবে খেলতে নামা এই তরুণীর সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় সাফল্য। এবারের শীর্ষ বাছাই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টিতে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ায় আত্মাবিশ্বাসের পারদ তার আকাশ ছুঁয়েছে।

যদিও মাটিতেই পা রাখছেন কেনিন। টিভির সামনে অসংখ্য গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল দেখা এই তরুণী উপভোগ করতে চান ফাইনাল, ‘ফাইনালের অনেক কিছু আমি দেখেছি। সবসময় স্বপ্ন দেখতাম এখানে খেলার। আজ আমি এখানে। সবার প্রথমে এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই। এই সময়টা তো আর সবসময় আসে না।’

তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুগুরুজার জন্য ফাইনালটি আরও ‘বিশেষ’। ছন্দহীনতায় গত বছরের শেষে র‌্যাঙ্কিংয়ের ৩৬ নম্বরের নিচে চলে যেতে হয়েছিল তাকে। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামতে হয়েছে অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে। সেই তিনিই পৌঁছে গেছেন ফাইনালে। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে আছে ২০১৬ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ২০১৭ সালের উইম্বলডনের শিরোপা জেতার মুহূর্ত দুটি।

সেই হিসাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালের আগে কেনিনের চেয়ে অভিজ্ঞতায় কিছুটা এগিয়ে মুগুরুজা। ভেনেজুয়েলায় জন্ম নেওয়া স্প্যানিশ তারকা বলেছেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা থাকবে, যদিও এখানে কোনোকিছুর নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। আমি কতটা গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছি, এটার কোনও মানে নেই। এটাই টেনিস ম্যাচ। দেখা গেল আপনি ১৫টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন এবং ফাইনালে উঠেছেন, এরপরও আপনাকে যে কেউ হারিয়ে দিতে পারে।’

এরপরও ২৬ বছর বয়সী স্প্যানিয়ার্ডকে অভিজ্ঞতার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ‍পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। ফাইনালে ওঠার পথে শীর্ষ দশের তিন খেলোয়াড়কে হারিয়েছেন। এবার সামনে ১৪তম বাছাই কেনিন। দুজনই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে। মুকুট কার মাথায় ওঠে, সেটাই দেখার।