অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অটুট জোকোভিচ-রাজ

অষ্টম ট্রফি হাতে মেলবোর্ন পার্কের ‘সম্রাট’

নতুন চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নিতে উন্মুখ ছিল রড লেভার অ্যারেনার বড় অংশ। কিন্তু পারলেন না ডমিনিক ঠিম। আগের দিন বলেছিলেন, নোভাক জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার রাজা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সেই রাজার রাজত্ব অটুটই থেকে গেল!

একসময় ২-১ সেটে এগিয়ে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন ঠিম। এমন অভিজ্ঞতা জোকোভিচের সম্পূর্ণ নতুন। আগে কখনও এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে তৃতীয় সেট শেষে পিছিয়ে থাকেননি।

তবে শেষ দুই সেটে জোকোভিচ বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি মেলবোর্ন পার্কের অবিসংবাদিত সেরা। পঞ্চম সেটের তৃতীয় গেম ‘ব্রেক’ করার পর তাকে থামানো যায়নি।

শেষ গেম ‘ব্রেক’ করতেই হতো ঠিমকে। কিন্তু বেসলাইনে খেলতে গিয়ে দুটি ভুল করেছেন অস্ট্রিয়ান তরুণ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল হয়নি জোকোভিচের। প্রায় ৪ ঘণ্টার লড়াইয়ের স্কোর ৬-৪, ৪-৬, ২-৬, ৬-৩, ৬-৪।

দুঃখ নিয়ে জোকোভিচের ট্রফির দিকে তাকিয়ে ঠিম৭টি ট্রফি নিয়ে আগে থেকেই টুর্নামেন্টের সফলতম জোকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অষ্টম শিরোপা জিতে সার্ব তারকা এখন সবার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ১৭টি গ্র্যান্ড স্লাম নিয়ে রজার ফেদেরার আর রাফায়েল নাদালের পরেই তার অবস্থান। ফেদেরার জিতেছেন ২০টি, নাদাল একটি কম।

আরেকটি গুরত্বপূর্ণ তথ্য, সর্বশেষ ১৩টি গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি টেনিসের তিন মহাতারকার হাতে শোভা পাচ্ছে। শুরুটা করেছিলেন ফেদেরার, ২০১৭ সালে মেলবোর্নেই।

উইম্বলডনে যেমন ফেদেরার, ফ্রেঞ্চ ওপেনে নাদাল, তেমনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জোকোভিচের জয়জয়কার। অষ্টম ট্রফি হাতে নিয়ে সার্ব তারকা বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা আমার ফেবারিট কোর্ট আর স্টেডিয়াম। এই ট্রফি আবারও হাতে নিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।’

হেরে গেলেও কোর্টের অন্যপাশ থেকে জোকোভিচকে দেখে মুগ্ধ ঠিম। যদিও ভবিষ্যতে প্রতিশোধের নেওয়ার কথা বলতেও ভোলেননি, ‘কয়েক বছর ধরে যা করছেন তা একেবারে অলীক ব্যাপার। আপনি আর অন্য দুজন (ফেদেরার-নাদাল) ছেলেদের টেনিসকে সম্পূর্ণ অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। আজ পারলাম না। আশা করি শিগগিরই প্রতিশোধ নিতে পারবো।’