করোনাভাইরাস: ফেদেরার-নাদালকে নিয়ে জোকোভিচের মহৎ উদ্যোগ

টেনিসের ‘বিগ থ্র্রি’দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার বাতিল করা হয়েছে উইম্বলডন। ফ্রেঞ্চ ওপেন স্থগিত করা হয়েছে সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত। সহজ হিসাবে গত মার্চ থেকে বন্ধ টেনিসের সব খেলা। করোনাভাইরাসের প্রভাবে কোর্টে নামতে না পারায় খেলোয়াড়দের আয়ের পথও বন্ধ। বিশেষ করে র‌্যাংকিংয়ের নিচের দিকে থাকা খেলোয়াড়দের অবস্থা শোচনীয়। তাদের জন্য তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচ।

টেনিসের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনও পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন- কী করা যায় খেলোয়াড়দের জন্য। জোকোভিচ অবশ্য এরই মধ্যে ফেদেরার ও নাদালকে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। র‌্যাংকিংয়ের নিচের দিকে থাকা খেলোয়াড়দের সাহায্যে এগিয়ে এসে তাদের জন্য তহবিল গঠন করছেন তারা।

সুইস টেনিস তারকা স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কার সঙ্গে ইনস্টগ্রাম লাইভে বিষয়টি জানিয়েছেন জোকোভিচ। সার্বিয়ান তারকা বলেছেন, ‘কয়েকদিন আগে রজার (ফেদেরার) ও রাফার (নাদাল) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা টেনিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছি। ২৫০ থেকে ৭০০ বা ১ হাজার র‌্যাংকিংয়ের মধ্যে থাকা খেলোয়াড়রা ফেডারেশন কিংবা স্পন্সরদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পায় না।’

এইসব খেলোয়াড়দের সাহায্যে এগিয়ে এসেই তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জোকোভিচ, ‘আমরা আশা করছি (সামর্থ্যবান) খেলোয়াড়রা সবাই এই তহবিলে দান করবে। এখানে জমা হওয়া অর্থ মডেল ও মানদণ্ড নির্ধারণ করে বিতরণ করবে এটিপি।’

জোকোভিচের ধারণা এই তহবিল থেকে ৩ থেকে সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার আসবে। একই সঙ্গে সামনের গ্র্যান্ড স্লামের প্রাইজমানিও যোগ করার কথা বললেন সার্বিয়ান নাম্বার ওয়ান, ‘(২০২০ সালে) আমরা যদি কোনও প্রতিযোগিতা না পাই, তাহলে হয়তো সামনের বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রাইজমানি এই তহবিলে জমা দিতে পারি। ২৫০-এর নিচের দিকে যারা আছে, তারাই টেনিসের ভবিষ্যৎ।’

এই তহবিলের মাধ্যমে জোকোভিচ একটি বার্তাও দিতে চান, ‘আমরা দেখাতে চাই, আমরা তাদের ভুলিনি। একই সঙ্গে তরুণ খেলোয়াড়দের বার্তা দিতে চাই, আর্থিক সংকটের সময় টেনিসের বাইরে থাকলেও তারা বেঁচে থাকবে।’